সোশ্যাল বার্তা : আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাগ্রহণে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। অনেকেই এখনও কষ্টের মধ্যে দিন কাটান। এবার এই পিছিয়ে পড়া সমাজের এক মেয়েই সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করালেন। উত্তর প্রদেশের নয়ডায় অনুষ্ঠিত ২০২২ দাদাসাহেব ফালকে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেলেন বাংলার ডগর টুডু।
জানা যায়, উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জের দক্ষিণ সোহারই গ্রামের একটি অনাথ আশ্রমের প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছিল আশা নামে একটি সাঁওতালি চলচ্চিত্র৷ যার পরিচালক পল্লব রায় ও প্রযোজক রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক আদিবাসী কন্যার জীবনযুদ্ধের লড়াই নিয়েই নির্মিত এই ছবিটি । ছবিটিতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ডগর টুডু ৷
আদিবাসী অভিনেত্রী ডগর টুডুর পুরো নাম ডগরমুনি টুডু (২২)। জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার মানবাজার ১নং ব্লকের বাসিন্দা ডগর টুডুর জন্ম এক সাঁওতাল পরিবারে৷ বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাঁওতালি ভাষায় স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেছেন। শুধু চলচ্চিত্রে অভিনয়ই নয়, সাঁওতালি গানও করেন ডগর। তাঁর বহু মিউজিক ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। ডগর এক জন সফল ইউটিউবারও এবং রয়েছে ইনস্টাগ্রামও।
https://instagram.com/dagar_tudu?igshid=YmMyMTA2M2Y=
সমাজসেবামূলক বহু প্রকল্পে কাজ করেছেন তিনি। লকডাউন পর্বে দরিদ্র সাঁওতাল পরিবারকে খাবার তুলে দেওয়ার জন্যেও কাজ করেছেন ডগর টুডু।
সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ডগর জনপ্রিয় হলেও টলিপাড়ার অনেক পরিচালক, প্রযোজক আছেন ওনারা হয়ত তাঁর নামই শোনেননি।
এক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আদিবাসী কন্যার চরিত্রকে বাস্তবে ফুটিয়ে তুলে ডগর টুডু গুণীজনের নজর কেড়েছেন। নিউজ সোশ্যাল বার্তার পক্ষ থেকে শিল্পীকে কুর্নিশ।