সামনেই বড়দিন ! অন্যান্য বছরের তুলনায় চাহিদা কম কেক এর

Social

সোশ্যাল বার্তা  : আর মাত্র কয়েকটা দিন! তার পরেই জিঙ্গল বেল, সান্টা ক্লজ আর অপরিহার্য সেই খাবারটা, মানে কেক খাওয়ার পালা। বড়দিন থেকে পরের প্রায় সপ্তাহ দুয়েক, নলেন গুড়ের কেক, ফ্রুট কেক, স্পেশ্যাল ফ্রুট কেক কিংবা প্লাম কেকের ভুরভুরে সুবাস যেন বশ করে ফেলবে চারপাশ। কিন্তু করোনাকালে এবারের বড়দিনে বাজারের অবস্থা ভালো নয়। সাধারণ মানুষের পকেটের অবস্থা আরও খারাপ। তাই, মনে কিছুটা আশঙ্কা-অনিশ্চয়তা নিয়েই আগাম খোঁজ নিতে হচ্ছে কেক প্রস্তুতকারকদের কাছে। মানে, স্থানীয় বেকারি কিংবা বাড়িতে যাঁরা কেক বানান, তাঁদের কাছে।

করোনা আবহে কিভাবে কেক তৈরি হচ্ছে, বাজারে কি রকম চাহিদা রয়েছে, নতুন কি আইটেম তৈরি হয়েছে তা জানা গেল হলদিয়া একটি কেক প্রস্তুত কারক কারখানায়। কারিগর ও কারখানার আধিকারিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় করোনার কারনে অর্ডার অনেক কমে গিয়েছে। ফলে কারখানায় কাজ করে যে সমস্ত কারগর অর্থ উপার্জন করে সংসার চালাতেন তারা একটু সমস্যায় পড়েছেন। হলদিয়ার ব্রজলালচকে একটি বেকারীর  কারখানা রয়েছে। সেখানে মহিলা ও পুরুষ মিলে ৫০-৬০ জন প্রতিনিয়ত কাজ করে থাকেন। গতবছর গুলির ক্ষেত্রে  কয়েকমাস আগে থেকে কাজ শুরু করে দিতে হতো কিন্তু করোনার কারনে এবছর অর্ডার কম। আর করোনার কারণে সরকারি নিয়ম মেনেই মাস্ক,গ্লাভস, মাথায় টুপি পরে কাজ চলছে। এখানে ২৫ থেকে ৩০ রকমের কেক তৈরি হয়ে থাকে। তার মধ্যে নলেন গুড়ের কেক, সোনার বাংলা নামক কেকের চাহিদা বেশি। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেলেও দাম সেইভাবে বাড়েনি। এক কেজি কাজুর দাম ৮০০ টাকা। আখরোট ২ হাজার টাকা কেজি। পেস্তার কেজি ১২০০ টাকা করে যাচ্ছে। তাই কিছু করার নেই সামান্য দাম বাড়াতে হয়েছ।

”গত বছর এক পাউন্ডের যে কেকের দাম ২০০ টাকা ছিলো, সেই কেকের দাম এবার ২১০ টাকা থেকে ৩৩৯ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। এক পাউন্ড চকোলেট কেকের দাম এবার প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে ২৭০ টাকার কাছাকাছি হবে।’

বড়দিনে প্রধানত রিচ ফ্রুট কেক ও প্লাম কেকের চাহিদা তুঙ্গে থাকলেও ডান্ডি কেক, চকোলেট কেকও এই সময়ে কম কিছু বিকোয় না। তা ছাড়া, শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ তো নন, বড়দিনের কেক সর্বজনীন। তাই কেকের চাহিদা প্রতিবছর থাকলেও এবছর করোনার কারনে অনেক কম। হলদিয়ার এই বেকারির তৈরি কেক পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি হাওড়া হুগলী জেলা সহ অন্যান্য জেলায় চাহিদা মেটায়।

Leave a Reply