মলয় দে নদীয়া :- ১৯৫৬ সালে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর প্রথম গ্রন্থ । সুধীর চক্রবর্ত্তীর কর্মজীবনের সূত্রপাত ঘটেছিল ১৯৫৮ সালে বরিশা বিবেকানন্দ কলেজে প্রথম অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে । এরপর কৃষ্ণনগর কলেজ , চন্দননগর কলেজে অধ্যাপনার কাজে নিয়োজিত হয়েছিলেন । পরবর্তী কালে ২০১১ থেকে ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যালয় ও হাবড়া শ্রী চৈতন্য বাংলা ভাষা ও স্নাতকোত্তর বিভাগের অতিথি অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেছিলেন ।
” অজ্ঞাত লোকগীতিকার কুবির গোঁসাই ” — এই বিষয়ের ওপর গবেষণা করে তিনি ১৯৭২ সালে পি এইচ ডি ডিগ্রী লাভ করেছিলেন । আবার এর পরবর্তীকালে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্প ও মৃৎশিল্প সমাজ নিয়েও যথেষ্ঠ সমীক্ষা করেছিলেন কৃষ্ণনগর শহরের রাম চন্দ্র মুখার্জি লেনের বাসিন্দা সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্তী ।
তার গবেষণার জন্য তিনি প্রচুর সন্মান সন্মানিত হয়েছেন । তার মধ্যে বিশেষ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য হলো শিরোমণি পুরস্কার , আচার্য্য দীনেশ চন্দ্র সেন পুরস্কার , সরোজিনী বসু স্বর্ণপদক , আনন্দ পুরস্কার এমিনেন্ট টিচার এবং সর্বভারতীয় সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রমুখ । প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত কাছের সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্ত্তীর প্রয়াণে যেন এক মহা শুন্যতার সৃষ্টি হলো বলেই মনে করেন সংস্কৃতিক জগৎ।
গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ কৃষ্ণনগর নগেন্দ্রনগর রামকৃষ্ণ পাঠাগারে তাঁর মরদেহ এসে পৌঁছায় সকাল বেলা,শ্রদ্ধা জানান অগণিত কৃষ্ণনাগরিকবৃন্দ । নবদ্বীপ শ্মশান ঘাটের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। নদীয়ার দিগনগর ছিল তাঁর জন্ম ভিটা।