নিউজ সোশ্যাল বার্তা, ৭ই নভেম্বর ২০১৯: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজার মূল আকর্ষণ ঘট বিসর্জন । বহু প্রাচীনকাল থেকেই দশমীর সকালে প্রতিটি ক্লাব বারোয়ারী তাদের ঘট নিয়ে বিভিন্ন বাজনা সহকারে জলঙ্গী নদীতে তাদের ঘট বিসর্জন করেন। প্রতিটি পাড়া তাদের ঘট সাজিয়ে পালকি সহকারে শোভাযাত্রা সহকারে জলঙ্গী নদীর পাড়ে যায়। শোভাযাত্রার মূল আকর্ষন ট্যাবলো ও বাজনা। শুধুমাত্র শহরের মানুষ নয় শহরের আশেপাশে যে সমস্ত গ্রামগুলি রয়েছে – ভূতপাড়া, যাত্রাপুর থেকে বগুলা আবার বাদকুল্লা,খামারশিমুলিয়া,ধুবুলিয়া,বেথুয়াডহরি, জাভা, চাপরা সহ বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষের সমাগম ঘটে এই শোভাযাত্রায়, নান্দনিকতা দেখার জন্য ।
পূজা কমিটি গুলি ট্যবলোর মাধ্যমে সমাজ সচেতনার বার্তা দেন । পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় তার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন – সেভ জলঙ্গি নদী সমাজ, পরিবেশ বন্ধু, আনন্দধারা , সামাজিক গণমাধ্যম গোষ্ঠী ‘আমরা কৃষ্ণনগরবাসী’ সহ আরো অনেক সংগঠন । এই বছরের সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিক বর্জনের উপরে ।কৃষ্ণনগর পৌরসভা কৃষ্ণনগর শহরকে প্লাস্টিক মুক্ত শহর হিসেবে ঘোষণা করেছে ।
বিসর্জন ঘাটের কাছে পূজায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ফুল’ মালা রাখার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছে । সেই ফুল সংগ্রহ করে নিচ্ছে অন্য একটি সংস্থ যা দিয়ে তৈরি হবে আবীর । জলঙ্গি নদী কে নদীকে বাঁচানোর জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে পরিবেশপ্রেমী মানুষজন ।
Facebook : News Social Barta 24×7