দেবু সিংহ,মালদা: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপার্ক,নেতাজী কলোনি সহ বিভিন্ন এলাকায় রমরমিয়ে চলছে জলাশয় ভরাট। মালদা শহরে অবস্থিত বিশালাকার চাত্রা বিল। সেই বিলেই মাছ ধরে রুটিরুজি চলে হাজার হাজার স্থানীয় মৎস্যজীবীদের।
অধিবাসীরা জানান পৌরসভা এলাকায় ভোররাত্রী থেকে সকাল পর্যন্ত এই বিল ভরাটের কারণে বিশাল সমস্যার মুখে পড়তে চলেছে মৎস্যজীবীরা। অন্যদিকে জলাশয় ভরাটের কারণে নিকাশি নালা বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির জলে প্রায় ৬-৭ মাস জল বন্দি হয়ে থাকায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছিল তিন নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণপল্লি, মালঞ্চপল্লী, কৃষ্ণপার্ক, নেতাজী কলোনি, বড়সাকো, গোদরাইল সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
অবৈধভাবে ভরাটের কারণে কিছু কিছু এলাকায় এখনো আটকে রয়েছে দুর্গন্ধ পচা জল। মাসখানেক আগে অবৈধভাবে বিল ভরাট ও দীর্ঘদিন ধরে এলাকার রাস্তায় ও ঘরবাড়িতে জল আটকে থাকার প্রতিবাদে মালঞ্চপল্লী জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষন ধরে বিক্ষোভোও দেখিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।পরে সদর মহকুমা শাসক সুরেশচন্দ্র রানোর হস্তক্ষেপে সেদিন পথ অবরোধ উঠেছিল।
সেদিনও বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল কোন মতেই যাতে জলাশয় ভরাট না হয়। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে আবার নতুন করে শুরু হয়েছে তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জলাশয় ভরাট। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলরের মদতেই চলছে এই জলাশয় ভরাট। পৌরসভাকে বারবার জানিও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। তাই জলাশয় ভরাটের প্রতিবাদে আগামী দিনে আবারো বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে পারে এলাকাবাসী, এমনটাই সূত্রে খবর।
বিল ভরাটের বিষয় ট্রাক্টর চালক পাঠান শেখকে ধরলে জলাশয় ভরাটের কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেন।
এই ঘটনার বিষয়ে মহকুমা শাসক জানান অবৈধভাবে জলাশয় ভরাটের ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি প্রশাসনিকভাবে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এই সমস্ত কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের যেকোনো মুহূর্তে তাদের গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি মহাশয় জানান, জলাশয় ভরাট করলে নিকাশি নালা বন্ধ হয়ে শহরে জল আটকে এলাকার মানুষ সমস্যায় পড়বে। এটা গুরুতর অন্যায়। শহরে এই ধরনের ঘটনা মানে পৌর প্রশাসক ও এলাকার প্রতিনিধির দায় বর্তায়। বিষয়টি দলের কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।