সোশ্যাল বার্তা :- বাঁচলে নদী বাঁচবে জীবন এই বার্তাকে সামনে রেখে জলঙ্গী নদী বাঁচানোর লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা তৈরি করতে পথে নামল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা “জলঙ্গী নদী সমাজ!।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে রবিবার কৃষ্ণনগর থেকে নবদ্বীপের স্বরূপগঞ্জ সাইকেল যাত্রা’র আয়োজন করা হয়। সকাল বেলায় শহর তথা গ্রামের একাধিক নদীমাতৃক সভ্যতা প্রেমী মানুষ কৃষ্ণনগর কদমতলা বিসর্জন ঘাটে হাজির হন। নদীর মাছ বিক্রি করে যাদের সংসার চলে সেই জেলে সমাজের মানুষও অংশগ্রহণ করেন এই কর্মসূচিতে।
কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণনগর ঐকতান সহ একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ও কিছু সহৃদয় ব্যক্তি ব্যক্তিগত উদ্যোগ সামিল হন একসঙ্গে নদী বাঁচানোর লক্ষ্যে। নাগরিক সমাজের সামনে কবিতা, পথনাটিকা উপস্থাপন করে সাইকেল যাত্রা’র অংশগ্রহণকারীরা। কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জ যাওয়ার পথমধ্যে সাইকেল যাত্রার সদস্যদের সংবর্ধনা জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কর্তব্যের সদস্যরা।
সংস্থার পক্ষে কৌশিক সরকার জানান “নদীর পাড়ের মানুষকে সচেতন করতে না পারলে নদী বাঁচানো যাবেনা। তাই কৃষ্ণনগর থেকে স্বরূপগঞ্জ পর্যন্ত নদীর পাড় বরাবর এই সাইকেল যাত্রা’র উদ্যোগ”। তবে তিনি জানান শুধুমাত্র একদিন নয় সারা বছর ধরে চলবে তাদের জলঙ্গী নদী বাঁচানোর কর্মসূচি।
নদীদুষণ এক ভয়ানক সমস্যা। সাধারণ মানুষ নদীকে মা বলে সম্বোধন করলেও অনেকে এখনও নদীতে ফেলেন নোংরা। নদীর মধ্যে কোথাও কোথাও বাঁধাল দিয়ে নদীকে আটকে রেখে ধরা হচ্ছে ছোট বড় সমস্ত ধরনের মাছ।
শম্ভুনগরের ঘোষপাড়ায় দেখা গেল এমন একটি মাছ ধরার বাঁধাল। বাঁধাল নেপথ্যে কারা রয়েছেন গ্রামের মানুষ প্রকাশ্যে নাম বলতে চাইছেন না।বাঁধাল দেওয়ার ফলে কিছু জলজ কচুরিপানা আটকে থাকতে দেখা গেল। এলাকাবাসীরা জানান এলাকার কয়েকজনের প্রভাবেই চলছে এই মাছ ধরার বাঁধাল। উল্লেখ্য কিছুদিন আগে শম্ভুনগরের মালোপাড়া মৎস্যজীবী সমিতি জলঙ্গী নদী সমাজের সহযোগিতায় জেলা সেচ (জলঙ্গি) ভবন ও মৎস্য ভবনে ডেপুটেশন দেয়।
জলঙ্গী নদী বাঁচাতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই ভূমিকায় খুশি কৃষ্ণনাগরিকগণ।