মলয় দে, নদীয়া:- উত্তর পাবেন না জেনেও প্রশ্ন রেখে গেছেন একটাই, রাজনৈতিক সভা সমিতি , ট্রেনে বাসে, বিসর্জন ঘাটের সকলে ঐক্যবদ্ধ! পেটের জ্বালায় তারা ছন্নছাড়া!
উত্তর নেই আমাদের কাছেও! নদীয়া জেলার শান্তিপুর রাসের জন্য বিখ্যাত।
রাস মেলা উপলক্ষ্যে বেশ কয়েক বছর ধরে এমনকি বংশানুক্রমিকভাবে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বিভিন্ন বিক্রেতা আসেন পসরা নিয়ে ,সাজিয়ে বসেন সেই পসরা। পরিবার ছেড়ে কখনো বা পরিবারের একজন সদস্যকে নিয়ে রাস্তার পাশে ফুটপাতে ওই দোকানের মধ্যেই একবার রেঁধে তিনবার খেয়ে শীতের মধ্যেই রাত কাটাতেন তারা। আর পাঁচটা সাধারণ দোকানের মতই বেচাকেনা করতেন তারা, উপচে পড়া ভিড়! তা শুধুমাত্র রাসের তিনদিন! বাকি ১৫ থেকে ৩০ দিন নিজেদের বেচাকেনার উপর নির্ভর করে থেকে থাকতেন তারা।
পুজো উদ্যোক্তাদের ব্যস্ততায়, উৎসবে খুশিতে মাতোয়ারা শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের বেখেয়ালে প্রশাসনিক নিয়ম রক্ষায় চলে গেছেন অনেকেই! নিরুপায় হয়ে রয়ে গেছেন, জীবনের থেকেও পেটের ক্ষিদে যাদের কাছে বড় তারাই।
বর্তমানের কারোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতির সময়ে জীবনধারণ করাই যে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানালেন একজন বিক্রেতা।