মলয় দে নদীয়া :-৫ ভরি সোনা সহ লক্ষাধিক নগদ টাকা এবং বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটলো নদীয়ার শান্তিপর পৌরসভার অন্তর্গত ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভদ্রকালী বিশ্বাস পাড়ায়। চুরির ঘটনায় বাড়ির মালিক বিপুল পাল জানান, তিনি পেশায় স্কুল শিক্ষক তার দুটি বাড়ি রয়েছে শান্তিপুরে।
গত বুধবার ২ তারিখ দিনের বেলায় শান্তিপুর ভদ্রা কালী তলা বিশ্বাস পাড়ার বাড়িতে দিনের বেলায় ছিলেন। রাসে আগত বিভিন্ন আত্মীয় সাথে দেখা করতে রাতে শান্তিপুরের আদি বাড়িতে চলে যান তার স্ত্রীও বাচ্চাকে নিয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বিপুল বাবুর পরিচায়িকা বৃদ্ধা হঠাৎই তাকে ফোন করে জানান তার বাড়ির পেছনের দরজা খোলা রয়েছে। বিপুল বাবু তড়িঘড়ি বিশ্বাস পাড়ার বাড়িতে এসে দেখে ঢুকতেই তার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও কম্পিউটারের তার ছিড়ে কম্পিউটার ভাঙ্গা অবস্থাই বিছানায় পড়ে রয়েছে। খোয়া গেছে হার্ডডিক্স! ভেতরে ঢুকে দেখেন নিচের তলার ঘরে তিনটে আলমারির দরজা খোলা সমস্ত জামাকাপড় নিচে পড়ে আছে। গয়নার বাক্স খোলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে, এরপর দোতালার ঘরে গিয়ে দেখেন একই অবস্থা। এমনকি বক্স খাটের পাল্লা ভেঙে সমস্ত গয়না চুরি হয়ে যায়, সাথে ব্যাংকের কাগজপত্র সহ নগদ লক্ষাধিক টাকা কিছুই নেই সবই চুরি করে চম্পট দেয় চোরের দল। এমনকি আরাধ্য দেবতার মূর্তিও শুইয়ে দেওয়া হয় সিংহাসনের পাশে। এছাড়াও তার রান্নাঘর লাগোয়া ডাস্টবিনে পটি পর্যন্ত করে রেখে যায় চোরেরা।
বিপুল বাবু আরো জানান, এমন ঘৃণ্যতম কাজ পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে । কিছুক্ষণের জন্য নয় সারা রাত্রি ধরে সর্বস্ব লুটপাট করেছে চোরের দল। তবে এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চুরি যাওয়া ঘটনায় শান্তিপুর থানায় ফোন করলে ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার পুলিশ এসে দেখে যায় পুরো বিষয়টি। আজ শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তির নাম তারা উল্লেখ করতে পারেননি। তবে এলাকার অভিজ্ঞরা মনে করেন, ঘরের বিষয়ে সমস্ত কিছু জানেন এমনই আত্মীয়-পরিজনের মদত থাকলেও থাকতে পারে এই ঘটনার সাথে।