মলয় দে নদীয়া:- বাবা ভ্যান চালায়, মা অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করে, সংসারের হাল ফেরাতে একমাত্র ছেলে মুম্বাই যায় কাজের উদ্দেশ্যে। কিন্তু চার মাস অতিক্রান্ত করলেও কোন যোগাযোগ নেই পরিবারের সঙ্গে। ছেলের ছবি আঁকড়ে চোখের জল নিয়ে প্রশাসনের দরজায় বাবা-মা। চাইছেন একমাত্র ছেলে ঘরে ফিরে আসুক।
নদীয়ার শান্তিপুর থানার গোডাউন পাড়া এলাকার ঘটনা। গোডাউন ভাড়া বছর 29 এর যুবক সন্তোষ বিশ্বাস। বাবা নিমাই বিশ্বাস ভ্যানচালক। মা মিরা বিশ্বাস অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। এভাবেই কোনরকমে সংসার চলছিল তাদের। তবে সংসারে আর্থিক অনটন লেগেই থাকত। এবার অর্থনৈতিক দিক থেকে একটু সচ্ছল হওয়ার আশায় ওই এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে 4 মাস আগে মুম্বাই কাজের জন্য গিয়েছিলেন সন্তোষ বিশ্বাস। বাড়িতে বলেছিলেন রাস্তা ঝাড়ু দেওয়ার কাজ করতে তিনি যাচ্ছেন। তার মা-বাবা অনেক মানা করেছিল তা সত্ত্বেও মুম্বাইয়ের বিরাটি তে কাজে যান। কাজে যাওয়ার মাত্র তিনদিন পর একবার ফোনে কথা হয়েছিল। কিন্তু চার মাস অতিক্রান্ত করলেও আর কোন যোগাযোগ করা যায়নি সন্তোষের সঙ্গে। সন্তোষের সঙ্গে যে প্রতিবেশী ব্যাক্তি কাজে গিয়েছিলেন তিনি কিছুদিন পরেই বাড়ি ফিরে এসেছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনো সদুত্তর পায়নি পরিবার। অবশেষে নিরুপায় হয়ে শান্তিপুর থানা দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার। সেখানেও পুলিশের তরফ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তারা। বর্তমানের ছেলের ছবি বুকে নিয়ে দিনরাত চোখের জল ফেলছেন তার বাবা-মা। তারা কাতর আবেদন করছেন যেভাবেই হোক তাদের বাড়ির ছেলেকে যেন বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়।