নিউজ সোশ্যাল বার্তা , ৬ই নভেম্বর ২০১৯, মলয় দে, নদীয়া :- নদীয়া জেলার কালীনারায়নপুর, শান্তিপুর, বেথুয়া, সহ গুটি কয়েক জায়গায় এই চাষ হয়ে থাকে। অত্যন্ত সুস্বাদু পুষ্টিকর এই ফলের হিমঘরে মজুদ রাখা যায় না, তাই প্রতিবছরই অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর বছরে এই দুই তিন মাস পাওয়া যায়। অনেকে আবার মজা করে একে জলে ভাজা সিঙ্গারাও বলে থাকেন।
বিঘা প্রতি আনুমানিক ১০ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ হাজার টাকা মুনাফা উপার্জন হয় চাষির। তাই দিয়েই সারা বছর সংসার চলে।
কিন্তু এবছর মাথায় হাত কৃষকের, বর্ষায় পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হওয়ায়, অনেক দেরিতে এবং কোন জায়গায় চাষ করেছেন চাষিরা। নতুন পরিষ্কার জল, বা প্রবাহমান জলে এই চাষ হয় না। শান্তিপুর ব্লকের বাবলা অঞ্চলের বাথনা গ্রামের হরেন মন্ডল ,রাম পদ মন্ডল, সোনা দুর্লভের মতো ভূমিহীন চাষী আজ দশ বছর ধরে চাষ করে আসছেন ঘোড়ালিয়া বাইপাস রোডের ধারে, বিভিন্ন পুকুর বা নিচু জলা জায়গায়। মালিকদের বাৎসরিক ভাড়া, চারা, সার ও অন্যান্য ওষুধ পত্রর জন্য খরচ করা বাবদ ১০০০০ টাকাও উঠবে না এবার।
অন্য বছর স্থানীয় কালিদাসীর দুর্লভ,টুডু দুর্লভ সহ আরো ৮-১০ জন বাইপাস পথের ধারে বিক্রি করতেন, কিন্তু এবছর পর্যাপ্ত চাষ না হওয়ায় শুধুমাত্র তারা দুজনই বিক্রেতা হিসেবে আছেন। তাদের মতে গত বছর ২৫ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করতেন, এবছর এক ধাক্কায় ৪০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে জানা গেল, দাম বেশি সহ ফলের আকৃতিও বেশ ছোট সাইজের হয়েছে। চাষীদের ভালো চারা তৈরি হয় মূলত জানুয়ারি মাসে ভালো সাইজের ফল থেকে, এবছর চারা তৈরীর মত যথেষ্ট বড় সাইজের ফল হচ্ছে খুব কম। স্বভাবতই আগামী বছরেও বড় ধাক্কা আসতে চলেছে এই চাষে।