মলয় দে, নদীয়া :-বৃন্দাবনে গোপিনীদের সাথে রাসলীলার মাঝে অন্যপুরুষ প্রবেশের কারণে ভেঙে যায় লীলা! সেই থেকে ভাঙ্গা রাসের প্রবর্তন। সেখানে মাঝখানে রাধাকৃষ্ণ , এবং চারিপাশে গোপিনীদের নৃত্য গীতি। সেই অনুকরণেই অদ্বৈত আচার্য্যর জ্যেষ্ঠ পুত্রের কনিষ্ঠ পুত্র রামেশ্বর চক্রবর্তী গোস্বামী এই বাড়িতেই চক্রফেরা রাসের প্রবর্তন করেন। সেই থেকেই চলে আসছে এই রীতি। জনশ্রুতিতে জানা যায় অদ্বৈত আচার্য মৃত্যুর আগে বেশ কিছুদিন কাটিয়েছিলেন এই বাড়িতেই সেই স্থানটি মূল মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হয় আজও, এবং সেখানেই থাকেন রাধাকৃষ্ণর বিগ্রহ। নাটমন্দির এ সারাবছর অন্যান্য পুজো হলেও।
রাস মঞ্চ বলে একটি দালান নির্মিত ছিল সেই আমল থেকেই। সেখানেই বিভিন্ন ফুলের সাজসজ্জায় সুসজ্জিত হন বিগ্রহ। এবং তার চারিপাশে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে প্রতিমা গোপীনীরা। তাই দেখতেই লক্ষ লক্ষ লোক ভিড় করেন এই বাড়িতে। এবছর করোনা আবহে, ভক্তবৃন্দ দের সুস্বাস্থ্য কামনা করে মূল ফটকের সামনে বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার শাওয়ার গেট।
প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে দূরত্ব বিক্রির জন্য মূল ফটকে সদস্যরা ছিলেন প্রহরীর রুপে, একদল ঠাকুর দেখে বেরোলে ,তবেই ঢুকতে দেওয়া হয় অন্য দলকে।