বন্ধ শোভাযাত্রা, ময়ূরপঙ্খী ,হাওদা, রাই রাজার সিংহাসন সবটাই পরিষ্কার করে খুলে রাখা হচ্ছে আগামী বছরের অপেক্ষায়

Social

মলয় দে, নদীয়া:- শান্তিপুর শহরে রাস যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম শান্তিপুর সাহা বাড়ি । প্রতি বছরই আড়ম্বড়ের সাথেই পালিত হয় তাঁদের দেব বিগ্রহ শ্রী শ্রী রাধাকান্ত জিউ এর পুজো এবং ভাঙা রাসের শোভা যাত্রাতেও শান্তিপুর শহরে অন্যান্য বিগ্রহ বাড়ির ন্যায় তাদের বাড়ির শোভাযাত্রাতেও রাই রাজা , বালক-বালিকা নৃত্য , নৃত্য গীত রত ময়ূরপঙী নৌকা , মহাভারতের সুসজ্জিত যুদ্ধ ক্ষেত্র , বিভিন্ন প্রকার বাদ্য সহ সর্বশেষে স্বর্ণালঙ্কার ভূষিত বেলোয়ারি ফানুসে মোমবাতির মৃদু আলোয় শোভিত সুন্দর হাউদায় সুসজ্জিত শ্রী শ্রী রাধা কান্ত জিউ এর যুগল মূর্তি প্রত্যক্ষ করা যায় শান্তিপুরের রাজপথে ।

তাদের পারিবারিক তথ্য থেকে জানা যায় প্রখ্যাত সাহা এস্টেটের ভগবত প্রাণ জগন্নাথ সাহার বংশ গণ আজ থেকে প্রায় ৩০০ বছর আগে শান্তিপুরের মনোরম পরিবেশে ব্যাবসা সূত্রে বসবাস শুরু করেছিলেন । বর্তমানে তারা নয় পুরুষ ধরে পূর্বপুরুষ গণের নির্মিত দেব মন্দিরের সন্মুখে ও বসত বাড়িতে বসবাস করেন । কথিত আছে জগন্নাথ সাহার পৌত্র বৈদ্যনাথ সাহা ও তার পঞ্চম পুত্র হিরালাল সাহার আমলে বস্ত্র ব্যাবসায় তার প্রভূত উন্নতি ঘটেছিল । তাদের বিশ্বাস ছিল শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় কারবারের শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে বলে দেব মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা । কিন্তু কুলোপুরহিতের নামে প্রথমে রাধারমন জিউ এর রাধা কৃষ্ণের মূর্তি তার বাড়িতেই প্রতিষ্ঠার ব্যাবস্থা করেন ও সেবা কার্য চালানোর জন্য প্রতি মাসে সাত টাকা এস্টেট থেকে বরাদ্দ হয়েছিল । পরে তাদের মনোবাসনা পূর্ণ করতে ও আরাধ্য দেবতা কে নিজ বাড়িতে রাখার জন্য সুবৃহৎ নাট মন্দির সহ দেবালয় তৈরি করে শ্রী শ্রী রাধা কান্ত জিউ নামে রাধা কৃষ্ণের যুগল মূর্তি ও নারায়ণ শিলা প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
রাস যাত্রা উপলক্ষ্যে তাদের বাড়ির সমস্ত মডেল , ময়ূরপঙ্খী এবং হাউদাগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করণের কাজ চলছে । যদিও এবছর কোভিড ১৯ এর কারণে শোভা যাত্রায় এগুলি প্রদর্শন করা হবে না । তাহলেও পারিবারিক রীতি ও নিয়ম শৃঙ্খলাকে বলবৎ রাখতেই উক্ত ততপরতা নেয়া হয়েছে এমনটাই জানালেন তাদের পরিবারের সদস্য ও সাহা বাড়ির রাস যাত্রার কর্মকর্তা শ্রী জহর সাহা ।

Leave a Reply