সোশ্যাল বার্তা : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর ২নং ব্লকের বর্ধিষ্ণু গ্রাম বেলপুকুর। গ্রামটি বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক চৈতন্যদেবের মামার বাড়ি বলেও পরিচিত। জেলার মধ্যে বেলপুকুরের কালীপুজো অন্যতম। তিনশোরও বেশি কালীপুজো হয় এই গ্রামে।
নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের প্রপিতামহ রুদ্র রায়ের আমলে রামচন্দ্র ভট্টাচার্য নামে এক শক্তিসাধক এখানে বসবাসের জন্য আসেন, তিনিই চালু করেন এই কালীপুজো। পুজো করলে মিলত রাজার থেকে অনুদানও সেখান থেকেই শুরু হয় পুজো।
বংশানুক্রমিক ভাবে এই গ্রামে হয়ে আসছে কালীপুজো। গ্রামের পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম পুজো সিদ্ধেশ্বরী কালী, বড়বাড়ি, মেজোবাড়ি, ন-বাড়ি, ছোটবাড়ি,ভট্টাচার্যী বাড়ির, ব্যায়াম সমিতি ,দত্ত বাড়ির পুজো সহ অন্যান্য ।
কৃষিপ্রধান গ্রাম হলেও গ্রামের অনেকেই বাইরে থাকেন, কালীপুজোর সময় দল বেঁধে বাড়ি ফেরেন। নিজেদের মধ্যে করেন ভাব-বিনিময়।
তবে এই বছর কিছুটা হলেও কালীপুজোর জৌলুস কমেছে । প্রাচীন পুজো ভট্টাচার্যী বাড়ির পুজো । পরিবারের পক্ষ থেকে সুধীন ভট্টাচার্য জানান “করোনা আবহে প্রতিমার উচ্চতা কম করা হয়েছে। ভীড় এড়িয়ে চলতে সাধারণ মানুষ বা নিকটাত্মীয়দের নিমন্ত্রণ পর্যন্ত করা হয়নি। রান্নার ঠাকুর ও কাঁসী বাদককে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁরা অন্যবারের মতো পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন”।
সিদ্ধেশ্বরী কালীমাতা পুজোর এবারের উচ্চতা ২৭ফুট । পুজো কমিটির সহ: সম্পাদক সুকুমার ঘোষ জানালেন মাইক, ঢাক ও বাজনা কিছুটা কম করা হয়েছে। সমস্ত সরকারী নিয়ম মেনে পুজো হবে । এলাকার মৃৎশিল্পী সোমনাথ পাল জানান “অন্যবারের তুলনায় এ বছরে কয়েকটি প্রতিমা কম ও অনেকগুলি প্রতিমার উচ্চতাও কম হয়েছে”।
বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানা গেল, করোনা বিষয়ে সাধারণ মানুষকে মাইকিং ও লিফলেট বিলি করে সচেতনতা করা হবে। বারোয়ারিগুলি স্যানিটাইজ করা হবে এছাড়া মাস্ক পরা ও সরকারী নিয়ম মেনে চলার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানানো হবে ।