মলয় দে, নদীয়া :-“এসেছে শরৎ, হিমের পরশ লেগেছে হাওয়ার ’পরে।সকাল বেলায় ঘাসের আগায়, শিশিরের রেখা ধরে”।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে কবির লেখা, কবিতা থাকছে পাণ্ডুলিপিতে আবদ্ধ! বাস্তবে যুগে যুগে পরিবর্তিত হচ্ছে আবহাওয়া জলবায়ু ! হয়তো আরো কয়েকশ বছর বাদে সারা বছরই থাকবে গরম, শীতকাল বলা যাবে না !তবে দু মাস শুধু গরম থাকবে না।
তাই শীতের আমেজ পুরোপুরি উপভোগ করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
রাতে লেপের উষ্ণতায়, সকলে কখনো শিশিরের উপর সূর্যের কিরণ, সবুজ ঘাসে শিউলি ঝরে পড়া, খেজুর গাছে বাধা হাঁড়ির কাঁধায় পাখির ঠোঁটের শব্দ, রবি শস্য ভর্তি মাঠ, রাস্তার পাশে আগুনে শরীর সেঁকে নিয়ে কুয়াশার ঘন চাদর ভেদ করে সোনা ঝরা রৌদ্দুরে পিঠ দিয়ে অজীর্ণতারভয় কাটিয়ে স্বাধীনমতো গোগ্রাসে সব রকম খাদ্যের স্বাদ উপভোগ করার সময় এসেছে!
ঘন্টা মাথার ওপর বো বো করে ঘোরা ফ্যানের ছুটি এবার! এসি, হাতপাখা সকলেই থাকবে শীতঘুমে ব্যস্ত। অন্যান্য বছরের মতো বিভিন্ন মেলা, পুষ্প প্রদর্শনী, সার্কাস, থিয়েটার, নাটক দেখতে পাবো কি এবার? শীতে কতটা কাবু হবে করোনা? নাকি বিগত ছমাসের মতো শিতের সমস্ত উৎসবেও কি আনন্দ একাই উপভোগ করবে সে? তবে সেই যাই করুক, আমরা প্রস্তুত হই শীতের জন্য। ” মাঘের শীত বাঘের গায়ে ” এখন আর না থাকলেও, কাঁথা লেপ কম্বল প্রস্তুতি কিন্তু তুঙ্গে!