মলয় দে, নদীয়া :- অনেকটা ঠিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জুতা আবিষ্কার এর মতো। ধূলোর জন্য নিজের পা না ঢেকে সারা রাজ্য ঢাকার মতো ব্যবস্থা! ভিড় বাসের মধ্যে দেখে ষাটোর্ধ্ব দুই প্রবীণ কে তার গন্তব্যস্থলে কন্ডাক্টর টেনে-হিঁচড়ে নামানোর পর বিদ্রুপের ছলে দুই প্রবীণ এমনটাই জানালেন আমাদের। ট্রেন বন্ধ করে বাস চালু রাখার ফলে করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ কতটুকু নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে! করোনার দাপট এতোটুকু কমেনি! অন্যদিকে কর্মসংস্থান হারিয়েছে লাখো লাখো মানুষ! সহযোগিতা বলতে রেশনের চাল , ব্যাস এটুকুই! ইলেকট্রিক বিল মুকুব নিয়ে আন্দোলন ছিলো রাজনৈতিক এজেন্ডা, আলু পিয়াজ সহ বাজারদর মূল্যবৃদ্ধির কারণ রাজ্য বনাম কেন্দ্রের রাজনৈতিক চাপানউতোর, ব্যাংকের সামনে অসচেতনতার বেনজির ভিড়! প্রশাসনের সামনে উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা বিসর্জন ঘাটের ভিড় ! মাস্ক ব্যবহারের প্রশাসনিক প্রচার থাকলেও, না ব্যবহারের জন্য শাস্তি মিলছে না কারো! সরকারি অফিস-আদালত খোলা, অথচ ট্রেনের বেলায় তালা।
প্রশাসনিক কড়া পদক্ষেপ ছাড়া, কখনো কোন আইন বলবৎ হয়নি আগে, তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী রেলযাত্রী। প্রতিটি রুটের বাসের পরিমান বাড়েনি অথচ 12 বগির একটি ট্রেনের সকল যাত্রীদের মাথায় তুলে নিয়েছে রুটের একটি মাত্র বাস! প্রথমদিকে অবশ্য ব্যবসায়ীক মুনাফার কথা ভেবে বাস না চালানোর ভনিতা করেছিল মালিকেরা! এখন তারাই মুখে কুলুপ এঁটেছে। যতদিন এভাবে থাকে ততোই মঙ্গল। নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে এইরকমই নাগাদ দৃশ্য ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়।