দেব সিংহ, চাঁচলঃ ইটভাটার খাদের জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই শিশুর।মঙ্গলবার মালদহের চাঁচল থানার দক্ষিণ হারোহাজরা গ্রামের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।জলে ভাসমান দুই শিশুকে গৃহবধূরা উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালে নিয়ে আসে।কর্মরত চিকিৎসকরা দুই শিশুকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মৃত ওই দুইই শিশু পৃথক পরিবারের রয়েছে।তবে তাদের আত্মীয়তাথ সম্পর্ক রয়েছে।তাদের নাম তাসমিরা খাতুন (০৩) ও আনিমুল হক(০৪)।দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরোও জানা যায়,ইটভাটা লাগোয়া এলাকায় কয়েকটি পরিবার বাস করে।মৃত শিশুদের পরিবার দুটি ওই গ্রামেই স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।তারা ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
মৃত ওই দুই শিশুর বাবা ইটভাটায় কাজ করছিলেন।মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন।ওই সময় পাড়ার অন্য শিশুদের সাথে খেলতে খেলতে ওই দুই শিশু ইটভাটার জল ভর্তি খাদের কাছে চলে আসে।এবং সেই খাদে তার গড়িয়ে পড়ে।পরে বাকি অন্যান্য শিশুদের মাধ্যমে জানতে পেরে পরিবারের লোকজন সহ পাড়ার লোকেরা সেখান ছুটে আসেন।ওই দুই শিশুকে খাদের জলে ভেসে থাকতে দেখা যায়।তাদের পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে চাঁচলের সুপার স্পেশাল্যাটি হাসপাতালে নিয়ে আসে।সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করে।
মৃতদের পরিবারের দাবি,ইটভাটা ঘেষা আমাদের বসবাস।ভাটা কর্তৃপক্ষ সীমানা প্রাচীর করুক।সীমানা প্রাচীর বা বেড়া থাকলে এই অঘটন ঘটত না বলে পরিবারের দাবি।ইটভাটা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে ওই ইটভাটাটি উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে। ইটভাটা কর্তৃপক্ষ সেখানে কোন সীমানা প্রাচীর দেয়নি। যার কারণে শিশুরা সেখানে খেলতে গিয়ে ইটভাটার খাদের জলে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।
এ বিষয়ে ইটভাটা কর্তৃপক্ষের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।