মলয় দে নদীয়া:-“আদিবাসী” কথাটার মধ্যেই রয়েছে এ বাংলা, এ ভারত, এমনকি এ পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অধিকার তাঁদেরই কারণ আদিকাল থেকে বসবাস করে আসছেন তারা। কিনেই হোক আর অধিগ্রহণ করেই হোক তাদের জমিতেই আজ আমাদের অট্টালিকা প্রশাসনিক ভবন সবকিছু।
নদীয়া শান্তিপুর ব্লকের বাহাদুরপুর ফরেস্টে গড়ে উঠেছে বনবিভাগের অফিস, গ্রামের এবং আশেপাশের প্রায় ৭০০টি পরিবার দীর্ঘদিন খেলার মাঠ থেকে বঞ্চিত। অথচ সরকারি আঠারোশো বিঘে জমির বেশ খানিকটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে । সেখানেই এলাকার ছেলে মেয়েরা এতদিন খেলার প্রয়োজনে ব্যবহার করতে গিয়ে সরকারি আইনী জটিলতার মুখে পড়েছে। এমনকি স্থানীয় ক্লাব নিউ সবুজ সংঘের সদস্যতা ক্রিকেট-ফুটবলে কৃতিত্বের নজির সৃষ্টি করলেও অনুশীলনের জন্য যেতে হয় তিন কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে অন্য একটি গ্রামে।
তাদেরই উদ্যোগে এই প্রথম আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৫২ জন রক্তদানে ব্রতী হয়েছেন আজ। কিন্তু রাস্তার পাশে বনদপ্তরের ওই পরিত্যক্ত জায়গাটি ব্যবহার করতে অনুমতি পর্যন্ত মেলেনি! রাস্তার পাশে ধানের জমির মধ্যেই তারা আয়োজন করেছে রক্তদানের।
স্থানীয় বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রিনা প্রামানিক, সদস্য নিরঞ্জন দাস, বাবলা অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন দাস, ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিক পূজা মৈত্র সহ বহু বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে রক্তদান এবং ডেঙ্গু সচেতনতায় মশারি বিতরণ করা হয় মাস্ক স্যানিটাইজার ব্যবহার করে সম্পূর্ণ ভাবে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। বিশিষ্টদের মুখে প্রশংসিত হতে চান না তারা!
উদ্যোক্তারা জানান “বর্তমান যুবসমাজ মাঠ ছেড়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে, মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণে বহু কিছু করছেন! আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে এবং গ্রামের মধ্যে এই প্রথমবার রক্তদানের মতো একটা উদ্যোগ নিয়েছি! মাঠ ব্যবহার করতে পারলাম না । অথচ এই দপ্তর এর একাংশ সঙ্গে যোগসাদৃশ্য করে কিছু গাছ মাফিয়া প্রতিরাতে কেটে নিয়ে যায় বহু মূল্যের গাছ। এর আগেও একাধিকবার হাতে নাতে ধরে, বনদপ্তর এবং থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি।
আগত বিভিন্ন জনপ্রতিনিধির কাছে খেলারমাঠের দাবি রেখেছেন তারা।