সোশ্যাল বার্তা : কৃষ্ণনগর ঐকতান ও চারুকলার সাথে যুক্ত শিল্পীদের মিলিত প্রচেষ্টায় কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর মাঠের পাশের রাস্তায় বিশ্ব শিল্পকলা দিবসে ক্যানভাসে রং ও আলপনার মাধ্যমে নববর্ষ পালন করলো কৃষ্ণনগর ঐকতান এর অবৈতনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কঁচিকাচারা ও মহিলারা ।
বিষয় ছিল “যুদ্ধ নয় শান্তি চাই” স্লোগান আজাদি কা অমৃত মহোৎসব ও বন্দে ভারত এবং বন্দে কৃষ্ণনগর। ছোটদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো ।
২০১৯ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ৪০তম অধিবেশনে ১৫ই এপ্রিল দিনটিকে বিশ্ব কলা শিল্পী দিবস ঘোষণা করা হয়। বিখ্যাত রেনেসাঁ পলিম্যাথ লিওনার্দো দা ভিঞ্চির জন্মবার্ষিকী ছিল সেই দিন। দৈনন্দিন জীবনে শিল্পের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দিবসটি পালন করা হয়।
এই প্রসঙ্গত কৃষ্ণনগর ঐকতান এর সভাপতি অরিন্দম দেব জানান ” বিশ্বশিল্পকলা দিবসে ছোটোদের হাতে রঙীন হলো নববর্ষের ক্যানভাস
লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির জন্মদিন ও শুভ নববর্ষ ১৪২৯ কে রঙীন ক্যানভাসে স্বাগত জানালো আমাদের অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কচিকাঁচাদের দল। কৃষ্ণনগর শহরের কাজ বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে আমাদের স্লোগান ছিলো বন্দে কৃষ্ণনগর। শিল্পীদের নিয়ে, রাস্তা আলপনা, ফেস পেন্টিং, ও ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে একটি ১২০ ফুট ক্যানভাস রঙীন করে তোলা হলো এবং ক্যানভাসের ছবিটি রুপ দেওয়া হয় । একদিকে প্রতিনিয়ত শিল্পী ও মানুষের সমাজে বেঁচে থাকার যুদ্ধ, অপরদিকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত শষ্যশ্যমলা ভারত মাতা শেষে শান্তির প্রতীক বুদ্ধ,সাথে ছোটোদের রঙীন আঁকিবুকি।
অভিভাবক শিশুদের নান্দনিক রাস্তা আলপনা এক আলাদা রুপ নেয়। ছোটছোট বাচ্চাদের উৎসাহ প্রদানের জন্য এসেছিলেন কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্রী অসীম সাহা, শান্তিনিকেতন থেকে সমাজকর্মী শুভলক্ষী গোস্বামী মহাশয়া, বিশিষ্ট শিক্ষক তাপস চক্রবর্তী মহাশয় এবং অগুনিত কৃষ্ণনাগরিক এই কর্মসূচি কে সফল করে তোলার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন।