মলয় দে নদীয়া : -গরম পরতেই রাস্তার দুধারে দেখা মিলছে আখের রস এবং ডাবের জল বিক্রেতাদের ।আর সেখানে ভীড় জমাচ্ছেন একের পর পথ চলতি মানুষ । কেও বা টোটো তে যাত্রী নিয়ে যাবার মাঝেই টোটো থামিয়ে ডাবের জলে চুমুক দিচ্ছে আবার কেও বাস ধরার লাইনে দাঁড়িয়েই আখের রসে চুমুক দিচ্ছে ।একটু ডাবের জল কিংবা আখের রসে গলা ভিজিয়ে আবার রওনা দিচ্ছেন উদ্দেশ্যের দিকে ।
ক্রেতারা বলছেন গরমের হাত থেকে বাঁচতেই এই আখের রস খাওয়া । আর তার মধ্যে তো আখের রসের উপকারিতাও আছে ।
বিক্রেতারা বলছেন সারা বছর টুকটাক বিক্রি হলেও গরম পড়লেই এর চাহিদা বৃদ্ধি পায় । আগের থেকে অনেকটাই বেশি চাহিদা বেরেছে এই আখের রসের । তবে ইদানিং ডাব হয়েছে আকাল ৫০ টাকায় ডাব বিক্রি করতে ক্রেতাদের সাথে বাক্যান্তর লেগেই থাকে দোকানির। মোবাইল টাওয়ারের কারণে ডাবের ফলন নেই বললেই চলে, তার ওপর ডাবের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না জল। অন্যদিকে লেবু আর পাতি নেই এখন হয়েছে মহারাজ, দেখতে পছন্দ না হলেও প্রতিটি লেবুর দাম 4 টাকা পাইকারি আর পছন্দসই হলে সাত থেকে দশ টাকা পর্যন্ত অথচ চিনি বরফ মিশিয়ে 5 টাকার উপরে দাম পাওয়া যায় না। আঁখের রসের অবশ্য খুব বেশি সমস্যা নেই, কারণ হিসাবে পিপাসুরা বলছেন তাতে প্রয়োজন মাফিক বরফ মেশাতে পারলেই খুশি খরিদ্দার থেকে দোকানি প্রত্যেকেই। তবে বেল আর আমের মধ্যে, ব্যবহারের সুবিধার জন্য অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে আম। দই চিনি দিয়ে পাকা আমের শরবত হোক বা কাঁচা আম পুড়িয়ে শরবত দেদার বিকোচ্ছে পিপাসুদের চাহিদার কারণে।