মলয় দে, নদীয়া:- ২০১৩ সাল থেকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম ৮০০ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা শুরু করলেও বর্তমানে এই পরিষেবার ব্যাক্তি ঘটেছে ৬০০০ বিদ্যালয়ে। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে , শিক্ষা দপ্তরের প্রকৃত মূল্যায়ন, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবল আগ্রহের ফলে। সেই সময় থেকে বর্তমানে মাইনে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬-৭ হাজার টাকা । সরকারি স্থায়ী করণ, বিভিন্ন সরকারি সুবিধা প্রদান, বিদ্যালয়ের কম্পিউটার মেরামতি, নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো প্রদান, কম্পিউটারকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করন এই ধরনের বেশ কিছু দাবি নিয়ে মঙ্গলবার ওয়েস্ট বেঙ্গল আইসিটি স্কুল কো-অর্ডিনেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নদীয়া জেলা কমিটির ২৯২ জন সদস্য নদীয়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে একটি দাবি সনদ জমা করেন। তারা আতঙ্কিত সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়েবেল সংস্থা তাদের জানিয়েছেন আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের পর তাদের ছাঁটাই করা হতে পারে এই দায়িত্ব থেকে। অথচ বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারি , শিক্ষাশ্রী, ঐকশ্রী, বাংলা শিক্ষা পোর্টাল, সবুজ সাথী র মতো নানান স্কলার্শিপ দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি কাজ করেও সহযোগিতা করা হয়েছে সরকারকে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সেরা প্রকল্প “কন্যাশ্রী” র কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে যথাসময়ে। অথচ যাঁরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে আজ তারাই ব্রাত্য হতে চলেছে! শিক্ষা দপ্তরের কাছে তাদের আরও একটি জোরালো দাবি ওয়েবেল নামক সংস্থার মাধ্যমে পরিচালিত এই শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাপ্ত থেকে অনেকটাই বঞ্চিত। কখনো সরকারি নির্দেশ কখনো বা ওয়েবেলের! এই দুইয়ের যাঁতাকলে প্রাণ ওষ্ঠাগত তাদের। তারা চান নির্দেশ আসুক এক তরফ থেকে।