মলয় দে, নদীয়া:- যারা বিভিন্ন মিছিলের ছবি ভিডিও তথ্য সম্প্রচার করে থাকেন আজ তারাই রাজপথে মৌন মিছিলে! রাস্তার দু’পাশে সাংবাদিকদের সমর্থনে দর্শকদের পক্ষ থেকে তোলা ছবি ভিডিওতে এই বিরল দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেল। নদীয়ার শান্তিপুরে ইলেকট্রনিক্স, প্রিন্ট, ডিজিটাল মিডিয়ার প্রায় ৪৫ জন সাংবাদিকদের প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত হয় বিকাল চারটে নাগাদ। মঙ্গলবার শান্তিপুর ডাকঘর বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে শান্তিপুর স্টেশনের গোল পার্কে শেষ হয় মিছিল। প্রসঙ্গত গত কয়েকদিন আগে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে দু’পয়সার প্রেস বলে মন্তব্য করেন এর পরেই প্রতিবাদের ঝড় ওঠে রাজ্যজুড়ে সংবাদমাধ্যমের মধ্যে।
শান্তিপুরের বিশিষ্ট কয়েকজন সাংবাদিক মহুয়া মৈত্রর মন্তব্যের জবাবে বেশ কিছুক্ষণ বক্তব্য রাখেন। সেই বক্তব্যে উঠে আসে, নানান ক্ষোভের কথা:- প্রথমত রাজনৈতিক দলের কর্মীসভার ভেতরে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ সে ধরনের কোনো নির্দেশনামা পোস্টার কোন কর্মী সভায় দেখা যায় না।
দ্বিতীয়তঃ নিচুতলার কর্মীরা বা স্থানীয় নেতৃত্ব এমনকি জেলা স্তরের বহু নেতারা বারংবার কভারেজ করার জন্য আহ্বান করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তার দলীয় কর্মীরাই দায়ী সাংবাদিকরা নয়।
তৃতীয়তঃ দু-পয়সারই যদি হয়ে থাকবে! তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যেক বিধানসভার বিধায়ক এর সাথে “জলযোগে যোগাযোগ” অনুষ্ঠানের কি প্রয়োজন ছিল?
চতুর্থত , শিক্ষা মানুষকে বিনম্র হতে শেখায়, কখনো ঔদ্ধত্য শেখায় না।
ষষ্ঠত: তিনিও যখন নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বা দলের বিভিন্ন জনহিতকর কর্মসূচি তুলে ধরতে সাংবাদিক বৈঠক করেন, তখন ডাক পরে এই দুই পয়সার প্রেস এর সাংবাদিকদের।
সপ্তমতঃ সাংবাদিকরা দলীয় কর্মী নয়, যে তাদের সাথেও একই ব্যবহার মেনে নেবে।এইরকমই বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে তারা দাবি তোলেন, টুইটারে শর্তসাপেক্ষ অস্পষ্টভাবে নয়। ক্যামেরার সামনে সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে নিজের মুখে সহজভাবে স্পষ্ট কথায় ক্ষমা চেয়ে “দু’পয়সার প্রেস” কথাটি প্রত্যাহার করুন।