মলয় দে, নদীয়া :- বর্তমান করোনা আবহে কর্মহীন হয়েছে অনেকেই। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আগামীতেও যে কর্মের যে কোনো নিশ্চয়তা নেই তা বলা বাহুল্য। তবে নিজেদের উদ্যোগে অল্প বিনিয়োগে স্থানাভাবে বাড়ির ছাদেও ছোটোখাটো ফার্ম গড়ে তৈরি করা যায় স্বাধীন ব্যবসা। উৎপাদিত দ্রব্যের বাজার এবং কাঁচামালের যোগান এই দুই বিষয়ে একটু সচেতন হলেই মেলে জীবিকার সুলুক সন্ধান। তবে পশুপাখি প্রতিপালন বর্তমানে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ডিম ও মাংসের চাহিদার ভিত্তিতে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী এবং যেকোনো পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা সম্পন্ন খাঁকি ক্যাম্বেল প্রজাতির হাঁস প্রতিপালনে উৎপাদিত ডিম বাজারে বেশ চাহিদা আছে। চার মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ডিম পাড়ে এরা, মাসের শেষে পাঁচদিন বিরতির পর আবার শুরু হয় ডিম দেওয়া। সহজলভ্য ম্যাষ জাতীয়কিছু খাদ্য খাবারেই সন্তুষ্ট থাকে এরা এমন কি সাঁতারের জন্য কোন জলাশয় এর প্রয়োজন হয় না। তবে এর সাথে সম্পৃক্ত আরেকটি ব্যবসা হলো ডিম ফুটে বাচ্চা তৈরি করে বিক্রি, সেক্ষেত্রে প্রতি পাঁচটি মহিলা হাঁসের জন্য একটি পুরুষ হাঁস প্রয়োজন। ডিম ফুটে বাচ্চা তৈরি করার ব্রুডিং ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় থাকলেও এই প্রজাতির হাঁস প্রতিপালনের খুব একটা দেখা যায়না। তবে নদীয়ার শান্তিপুরের অরিজিৎ গুহ প্রথমবারে বেশ কিছু ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দ্বিতীয়বারে সাফল্য লাভ করেছেন। এ বিষয়ে শুনে নেব তাঁর অভিজ্ঞতা এবং পরামর্শ।
