সোশ্যাল বার্তা : গত সপ্তাহ থেকে একটি বিরল ঋনাক্তক গ্রুপের রক্তের খোঁজ নিচ্ছিল নদীয়া জেলার মাজদিয়ার কলেজের স্নাতকের ছাত্র সঞ্জু ঘোষ । বর্তমানে তার মা কল্যানীর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন । সঞ্জুর বাবা প্রবাসী-মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত মাইগ্রেন্ট শ্রমিক।
নদীয়া শিবনিবাসের বাসিন্দা সঙ্গীতা ঘোষ বছর খানেক ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। মাঝে মাঝে ডাইলসিস চলে। প্রথম দিকে রক্তের জোগান থাকলেও বতর্মান করোনা আবহে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্যদিকে ব্লাডব্যাঙ্কে রক্তের সংকট , তারপর আবার বিরল গ্রুপের রক্তদাতা যোগার করাও কঠিন ।
সঞ্জু যোগাযোগ করে নদীয়ারই একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিসেস বা ইবিএস এর সদস্যদের সঙ্গে । সংস্থার সংযোগেই এগিয়ে এলেন কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন সেবামুলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে রাখা বেসরকারি সংস্থার কর্মী সুজয় ঘোষ। সোমবার লকডাউনে ওয়ার্ক ফর্ম হোম থেকে তৎক্ষণাৎ শক্তিনগর ব্লাডব্যাঙ্কে এসে সঞ্জু’র মায়ের জন্য স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন এবং পুনরায়- নিজের কাজে ফিরে যান।
এই প্রসঙ্গে সুজয় ঘোষ জানান “এটা তেমন কিছু নয়। যেহেতু আমার ও(-) নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত তাই ৩ মাস পরপরই যার তখন প্রয়োজন হয় তাকেই রক্ত দেই । রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাঁচানো একজন নাগরিক হিসেবে আমার কর্তব্য” ।
ইবিএস সংগঠনের পক্ষ থেকে ওসমান গনি খান জানান “সুজয়’দাকে একবার বলাতেই উনি রাজি হয়ে চলে এলেন লক ডাউনের দিনে রক্তদান করতে । সংগঠনের পক্ষ থেকে সুজয় দা’র ও সঙ্গীতা দেবীর দীর্ঘায়ূ কামনা করি । সবার সহযোগিতায় মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে বদ্ধপরিকর ইবিএস ” ।