নদীয়ায় সুরের জাদুকর রাহুল দেব বর্মনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

Social

মলয় দে নদীয়া:- উৎসবের শহর শান্তিপুরে শুরু হয়েছে প্রবাদ প্রতিম প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী রহুলদেব বর্মণের জন্মদিনকে স্মরণ করে শান্তিপুর বাঁশরীর নেতৃত্বে পরস্পর তিন দিন ব্যাপী শান্তিপুর পাবলিক লাইব্রেরির হলে এক সুরেলা বর্নাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা , অর্থাৎ গানে গানে পঞ্চম স্মরণ সন্ধ্যা । যদিও সংগঠনের পক্ষ থেকে সঙ্গীত স্রষ্টার স্মরণ আজ নতুন নয় 15 বছর যাবত। বাঁশরী সংগঠনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আলংকারিক ভাবে সভাপতি-সম্পাদক বা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ সৃষ্টি করা নেই কাজ করার জন্য প্রত্যেক সদস্যর সকল সমান গুরুত্ব। বিভিন্ন ধরনের গান এবং বাজনার অনুশীলন চলে সারাবছর।এই সংস্থা থেকে বহু শিল্পী আজ উজ্জল সাংস্কৃতিক জগতে। শুধু গান বাজনার অনুশীলন নয় সামাজিক দায়িত্ব পালনেও তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে, দীর্ঘদিনধরেই তারা দুজন বিশেষভাবে সক্ষম কে সহায়ক সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করে থাকেন, বস্ত্রদান এবং অন্যান্য সহযোগিতা তো আছেই।

1939 সালের 27 সে জুন রাহুল দেব বর্মন জন্ম গ্রহণ করেছিলেন । সেই দিনকে স্মরণ করেই শান্তিপুরের সাংস্কৃতিক সংস্থা বাঁশরী র নেতৃত্বে এই সুরেলা সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উদযাপিত হচ্ছে । সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার রাহুল দেব বর্মন সম্পর্কে আমরা প্রত্যেকেই কম বেশি জানি । তবে কিংবদন্তি সুরকার রাহুল দেব বর্মন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কিছু অজানা কথা। প্রথমত , 1966 সালে পঞ্চম বিয়ে করেছিলেন রিটা প্যাটেল কে , কিন্তু সেই বিবাহ বিচ্ছেদের পর 1980 সালে তিনি সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলে কে বিবাহ করেছিলেন । যদিও আশা ভোঁসলে রাহুলের থেকে বয়সে ছয় বছরের বড়ো ছিলেন ।
দ্বিতীয়ত , কাঁচের প্লেটের ওপর চামচের ঘা মারলে এক বিশেষ ধরনের শব্দের উদ্ভব হয় , সেই বিশেষ শব্দের সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করেছিলেন রাহুল দেব বর্মন । এই বিষয়টি অনেকেরই অজানা ।
তৃতীয়ত , মেহবুবা নামক একটি হিন্দি গানে মাটির কলসির ভিতর মুখ ঢুকিয়ে দিয়ে মুখে আওয়াজ করলে এক বিশেষ ধরনের শব্দ সৃষ্টি হয় — সেটাও সর্বপ্রথম দেখিয়েছিলেন রাহুল দেব বর্মন ।
চতুর্থত , মেরি সামনে ওয়ালি খিড়কি মে এই হিন্দি গানে চিরুনির সাথে শঙ্খের আওয়াজের উদ্ভাবন প্রদর্শন করেছিলেন রাহুল দেব বর্মন ।
পঞ্চমত , হেমন্ত কুমারের বিখ্যাত গান মেরে আপনা দিল আওয়ারা — এই গানটির সাথে যে মাউথ অর্গান এর বিশেষ এক শব্দ ঝঙ্কার আছে , সেটা রাহুল দেব বর্মনের নিজের বাজানো ।
ষষ্ঠত , তার ডাক নাম ছিল টুবলু — সেটাও অনেকেরই অজানা ।
সপ্তমত , ছোটো বেলায় তার কান্নার আওয়াজ ছিল সরগমের পঞ্চম সুর ” পা ” এর মত শোনাতো । সেই পঞ্চম সুর অনুযায়ী তার নাম রাখা হয়েছিল পঞ্চম ।

Leave a Reply