মলয় দে, নদীয়া:-জাতি-ধর্ম-বর্ণ ধনী-দরিদ্র ভেদে ভারতের জাতীয় উৎসব বোধহয় আজ! ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে এই প্রথম, প্রায় প্রত্যেক রাজ্য জেলা শহর-গ্রাম সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি কে মান্যতা দিতে গিয়ে ম্লান হয়েছে উৎসব। বিশেষত কচিকাঁচাদের স্বতঃস্ফূর্ততা, ক্লাব ব্যান্ডের শব্দে আকাশ-বাতাস মুখরিত হওয়ার মতো বিশেষ কিছু লক্ষ্য করা গেলো না এ বছর।
তবে নদীয়ার শান্তিপুরে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে বিশেষভাবে সক্ষমরা তুললো জাতীয় পতাকা, “দুস্থ কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের বই-খাতা তুলে দেওয়ার সাথে স্কলারশিপের অর্থ সহযোগিতা তুলে দিলো শান্তিপুর আলোকবর্ষ।
তিলিপাড়া নাইন স্টার ক্লাব মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করলো শতাধিক অভুক্ত মানুষের, শান্তিপুর প্রয়াসের পক্ষ থেকে ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৭৪ টি চারাগাছ সন্তানসম প্রতিপালনের উদ্দেশ্যে লিখিত নিয়ে দত্তক নিতে শান্তিপুরের প্রকৃতিপ্রেমীরা।
দশ ফুট বাই ছয় ফুট এর পতাকা ৭৪ ফুট উঁচুতে ওড়ালো এক নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ সংঘ ক্লাবের সদস্যরা। ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যদের মধ্যে স্বাধীনতার স্বাদ প্রদানের উদ্দেশ্যে শান্তিপুর নবজাগরণ এবছর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করালো তাদের দিয়ে।
শান্তিপুর সংকল্পের আয়োজনে আরেক সংকল্প সংস্থার সাথে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেললো সৌহার্দের উদ্দেশ্যে।
মোহনবাগানের সমর্থক শান্তিপুর মেরিনার্স এর পক্ষ থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর নেতাজির গলায় মালা দেওয়া হয়। শান্তিপুর সেতুর পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়। শর্মা মোবাইল শপ এর পক্ষ থেকে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শান্তিপুর ডাকঘর মোড়ে নেতাজির পদতলে সামিল হন।
বাইগাছি পাড়া সোনালী সংঘের পথচলতিদের মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিতরণে বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য কেও দেখা গেলো। শ্যামবাজার কালীমাতা মন্দিরের সামনে পাড়ার ছেলেরা বিতরণ করল মাস্ক এবং স্যানিটাইজার।