রাজু পাত্র,নদীয়া : “দয়া নয় দায়”- এই করোনা-সংক্রমণ ও লকডাউনের উদ্ভূত পরিস্থিতি কেড়ে নিয়েছে বাংলা তথা ভারতবর্ষের লোকশিল্পীদের কন্ঠ থেকে ভেসে আসা মাটির সুর, সাথে পায়ের ছন্দ। লোকশিল্পী সম্প্রদায়ের অনেকেই অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের দিশারীর কর্মকাণ্ড গত ২৩ বছর ধরে এই শিল্পীদের জীবনযাত্রার সাথে মিশে আছে। সারা বছরের মত লকডাউন এর কঠিন পরিস্থিতিতেও দিশারী পরিবার নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলার আদিবাসী ঝুমুর, সাঁওতাল, রায়বেঁশে লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আজও দাঁড়িয়ে আছে।
বাংলার এই লোকসংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে চলেছে। বহু বছরের চেষ্টায় কয়েকটি দলকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে দিশারী পরিবার।
ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক সংকট দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে এবং নিদারুণ চেহারা নিয়ে ফেলেছে। শিল্পী না বাঁচলে শিল্প বাঁচবে না।
গত ছয় মাসের বেশী কোন অনুষ্ঠান নেই অথচ এর সাথেই জড়িয়ে আছে তাদের জীবনযাত্রা। অনুষ্ঠান এর উপর ভিত্তি করে কারো সংসার চলে, কারোর পড়াশোনা। শিল্পীরা মঞ্চে অনুষ্ঠান করেন সকলকে আনন্দ দেওয়ার জন্য, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশের জন্য পরিবর্তে তাদের জীবিকা-নির্বাহ হয়।
দিশারী পরিবার ঠিক এমনই একটি অনুষ্ঠানের কথা বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে। এই অনুষ্ঠান আগস্ট মাসের চারটি রবিবার (৯,১৬,২৩,৩০) অনুষ্ঠিত হবে। দয়া নয় মাথা উঁচু করে ওদের প্রাপ্য ওরা চাইবে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। এই অনুষ্ঠানে সংগৃহীত অর্থ এবং শিশু শিল্পীদের জন্য বই, খাতা অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের হাতে তুলে দিতে চাই দিশারী পরিবার।