মলয় দে, নদীয়া:-ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার ঠিক আগে নদীয়া জেলার শান্তিপুরে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে অবিশ্বাস ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল। শান্তিপুরের মানুষকে রক্ষা করার উদ্দেশ্য নিয়ে তখনকার যুব সমাজকে নিয়ে তৈরী হয় বোম্বেট_মিলিটারি নামে একটি সংগঠন। কাশ্যপপাড়ার বাসিন্দা (শিশু কাকলী স্কুলের পাশে) ভুবন পন্ডিত মশাই (মিউনিসপ্যাল স্কুল) এর ছেলে বিষ্টু_ভটচাজ্ এর নেতৃত্বে শান্তিপুরের বাছাই করা ডাকাবুকো ছেলেদের নিয়ে তৈরী হয় এই সংগঠন। বিষ্টু ভটচাজ্ ছাড়াও দলের প্রথম সারিতে ছিলেন সুশীল পাল, পবিত্র চ্যাটার্জী, শ্যাম সুন্দর মুখার্জী, বিমল চ্যাটার্জী, ফুনু সান্যালদের মত মানুষরা ।
এদের কাজে সব সময়েই ছিল অভিনবত্ব। এরাই ঠিক করেন কালি পুজো করব এবং মূর্তি হবে অন্যরকম। শোনা গেল তারকেশ্বরের কাছে একটি ভয়ঙ্কর রুপের কালি মূর্তি আছে। বিষ্টু ভটচাজ্ ও পবিত্র চ্যাটার্জী দুজনা ভজা পালকে (অজিত পালের বাবা) নিয়ে গিয়ে মূর্তি দেখে এসে তৈরী হল শান্তিপুরের প্রথম ডাকাতকালি। এই কালি মূর্তির বাঁ পা শিবের বুকে থাকায় #বামা বা #বোম্বেট কালী নামে খ্যত হয়। ১৯৪৬ সালে এই পুজোর নিরঞ্জনে মশাল নিয়ে যাওয়ার সময় ডাকঘর মোড়ে ঝামেলার সৃষ্টি হয় যা বিরাট আকার ধারন করে। এই কারনে পরের বছর অর্থাৎ ১৯৪৭ সালে পুজোর অনুমতি পাওয়া যায়নি। সেই কারনে এই পুজো সেই বছরে বাংলা স্কুলের সামনে করা হয়, আবার ১৯৪৮ থেকে দুটি পুজোই মহা সমারোহে চলতে থাকে। এটি পাড়ার কোন নির্দিষ্ট পুজো নয়। শান্তিপুরের সব পাড়ার সদস্য মিলে পরিচালিত হয় পূজা ।