মলয় দে নদীয়া :- নিন্দুকেরা যে যাই বলুক, স্বামী হারা হয়েও একমাত্র সন্তানের হাত ধরে অপর্ণা দেবীর লক্ষ্য ভলিবলের অ্যাসোসিয়েশন গড়া। ক্রিকেটে সরকারের আগ্রহ থাকলেও ফুটবলের থেকেও কম আগ্রহ ভলি বলে , যার ফলে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তার স্বপ্ন পূরণ। তবে এলাকার ছেলেমেয়েদের নিয়ে আট বছর আগে গড়ে তুলেছিলেন প্রীতি ক্লাবের মাঠ, তাদের নিয়েই জেলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ভলিবলের প্রতি এতটাই আগ্রহ, তাই তিনি নিজের বাড়ির বড় উঠানেই তৈরি করে ফেলেছেন মাঠ। প্রতিবেশী যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সম্প্রতি নেট লাগিয়েছেন চারিদিকে। সকাল বিকাল রীতিমতো দুবেলা করে অনুশীলন দিয়ে থাকেন তিনি। প্রতিবছর ১৫ ই আগস্টে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকেন যার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শিক্ষক দিবসের দিন। তবে এবার রবিবার পড়ার কারণে গতকাল এই আয়োজন করেছিলেন। অতিথি আপ্যায়ন থেকে শুরু করে, তাদের খাওয়া দাওয়ার রান্না, সবটাই নিজে হাতে করা। তবে রাজ্যের সমস্ত ভলিবল কোচ এবং স্থানীয় বিধায়ক, শান্তিপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সহ বহু বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন তার এই প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানাতে।
অপর্ণা দেবী জানান বাবা ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। ছোট বেলায় বাবার হাত ধরেই প্রথম মাঠে নামা, যোগাসন থেকে জিমন্যাস্টিক অ্যাথেলেটিক থেকে ভলিবল খেলার ধরন পরিবর্তিত হলেও মাঠ ছাড়েননি তিনি, এমনকি স্বামী হারা হয়েও না। মোটা থেকে রোগা হওয়ার বিভিন্ন শারীরিক কষ্ট শিখিয়ে ছেলেমেয়েদের খেলা শিখিয়ে সংসার চালিয়েও তার অদম্য এই ভলিবলপ্রীতি। তাইতো ক্লাবের নাম দিয়েছেন কৃতী ক্লাব। এত কিছু হয়ে গেলেও স্থানীয় তরফে কোন সম্মান পাননি তিনি এমন কি অনেকের বিষয়টি অজানা।
আজ শিক্ষক দিবসে ক্রীড়া শিক্ষাগুরুকে জানাই আমাদের শ্রদ্ধা।