প্রীতম ভট্টাচার্য, নদীয়া : শ্রাবণ পূর্ণিমার আগের একাদশীতে বসে ঝুলন। আর একাদশীর আগে ঝুলনের পুতুলের চাহিদা থাকে খুব। কিন্তু এবছর করোনা ও লকডাউনের জন্য পুতুল শিল্পীদের মাথায় হাত।
প্রতিবছর পুতুল কেনার পাইকার ও খোলা বাজারে বিক্রী করে প্রায় একজন মৃৎশিল্পের ১৫ হাজার টাকার মত পুতুল বিক্রী হয়।
এবছর পুতুলের চাহিদা একদম নেই। এছাড়া বিভিন্ন মেলা বন্ধ থাকায় গভীর সংকটে এই পুতুল শিল্পীরা। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রাম পাল,দামু পাল, চন্ডীপালদের কথায় জানুয়ারী মাস এই পুতুল তৈরীর প্রস্তুতি চলে, কিন্তু এবছর করোনার জন্য আমাদের পুতুল ঘরে রেখে দিতে হবে,কিভাবে বিক্রী করবো বুঝতে পারছি না, সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়বে, পরিবহন বন্ধ থাকায় পাইকারী খদ্দের নেই বাজারে।
কুমোর পাড়ার শিল্পীদের এই পুতুল তৈরী হয় ঝুলনের জন্য প্রতিবছর।