কৌশিক আইচ : নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরকে প্লাস্টিকমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘প্লাস্টিক বিরোধী এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা’ অনুষ্ঠিত হলো আজ।
পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সদর মহকুমা শাসক শ্রী সৌমেন দত্ত মহাশয়, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেমন – পরিবেশ বন্ধু, সেভ জলঙ্গী নদী সমাজ, চাপড়া পরিবেশ কল্যাণ, Nadia District Association of the Deaf, রানাঘাট ও শান্তিপুর থেকে আসা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীবৃন্দ এবং প্রচুর পরিবেশপ্রেমী কৃষ্ণনাগরিক। আমিনবাজার থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে পোস্ট অফিস মোড় হয়ে R N Tagore রোড বরাবর অগ্রসর হয়ে শেষ হয় কদমতলা ঘাটে। পোস্ট অফিস মোড়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন মহকুমা শাসক সদর ও বর্তমান পৌরপ্রশাসক শ্রী সৌমেন দত্ত মহাশয়। পদযাত্রার পুরো যাত্রাপথে নৃত্যশিল্পীরা ধামসা মাদল সহকারে নৃত্য পরিবেশন করতে করতে এগিয়ে চলেন যা একটি আলাদা মাত্রা বহন করে এবং পদযাত্রাটিকে আরো রঙিন ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
প্ল্যাকার্ড হাতে পরিবেশপ্রেমী নাগরিকেরা সুশৃঙ্খলভাবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এগিয়ে চলেন সঙ্গে চলতে থাকে মানুষকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ এবং মাইক সহকারে প্লাস্টিক বিরোধী প্রচার। আজ কৃষ্ণনগর শহর যে একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও থার্মোকল মুক্ত শহর হিসেবে গড়ে উঠতে চলেছে সেই অসাধ্য সাধন হঠাৎ করে সম্ভব হয়নি, তার জন্য বহু আগে থেকেই নিরন্তর প্রচার ও প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন ‘পরিবেশ বন্ধুর’ ন্যায় বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, আর রয়েছে কৃষ্ণনগর পৌরসভার অগ্রনী ভূমিকা, বিশেষ করে প্রাক্তন পুর প্রধান এবং বর্তমান প্রশাসক বোর্ডের অন্যতম সদস্য শ্রী অসীম সাহার ঐকান্তিক সহযোগিতা, যিনি সামনে থেকে একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও থার্মোকল বিরোধী বিভিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং কৃষ্ণনগর পৌরসভা একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও থার্মোকল ব্যবহারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের ক্ষেত্রেই জরিমানার নিদান জারি করেছে।
ধন্যবাদ জানাই নদীয়াজেলা প্রশাসন ও মাননীয় জেলাশাসককে এবং বিশেষ করে কৃষ্ণনগরের সদর মহকুমা শাসক ও বর্তমানে কৃষ্ণনগর পৌরসভার প্রশাসক শ্রী সৌমেন দত্ত মহাশয়কে যিনি ভীষণ আন্তরিক ভাবে কৃষ্ণনগরকে একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও থার্মোকল মুক্তি ঘটানোর লক্ষ্যে সর্বদাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সর্বোপরি কৃষ্ণনগরের পরিবেশ সচেতন মানুষ এবং ব্যবসায়ীদের সমর্থন না থাকলে এই প্রচেষ্টা কখনোই ফলপ্রসূ হয়ে উঠতে পারতো না। কৃষ্ণনগরই হয়তো আগামীতে দিশা দেখাবে জেলার অন্যান্য পৌরসভা বা পঞ্চায়েতকে একক ব্যবহার্য প্লাস্টিক ও থার্মোকল মুক্ত হিসাবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে।