৮ বছরের ভালোবাসা , স্বীকৃতির অভাবে,আটক আইনি বিচারে

Social

মলয় দে, নদীয়া,:- মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরের মাজদিয়া গ্রামের রঞ্জন দাসের কনিষ্ঠা কন্যা কাকলি এবং শান্তিপুরের ঈশ্বর কানাইলাল দাসের কনিষ্ঠপুত্র কাঞ্চন লতায়-পাতায় দূরসম্পর্কের আত্মীয় হওয়ায়, জেলা পেরিয়ে ভালোবাসায়, মন ছাপিয়ে ভালোবাসা পৌঁছায় শারীরেও…. বহুবার। দুজনেই নিশ্চিত একটা কাজ পেলেই গড়বে নতুন সংসার।

২০১৫ সালে প্রথম অস্থায়ী চাকরি রানাঘাট পঞ্চায়েতে, মাত্র ১০ হাজার টাকা বেতনে সন্তুষ্ট না হয়ে অপেক্ষা করায় কাকলিকে। অবশেষে ২০১৮ সালে সুন্দরবনে স্কুলশিক্ষকের স্থায়ী চাকরি, কিন্তু এবারেও দেরি করার প্রস্তাব। নারাজ হয় কাকলি, বহুবার বোঝাতে চেষ্টা করে, এখন বাধা কিসের?? একই বক্তব্যে অমানবিক হয় কাঞ্চন, সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।

আত্মহত্যা করতে যায় কাকলি, বোনের সম্মান রক্ষার্থে বোন সমেত দিদি পৌঁছায় শান্তিপুরের কাঞ্চনের বাড়িতে। প্রথমে নানা অপমান করলেও, প্রেম এবং একাধিক ঘনিষ্ঠতার কিছু শান্তিপুরের কাঞ্চনেরই বন্ধুদের সহায়তা পেয়ে, স্থানীয় কালীবাড়িতে বিবাহ হয় কাঞ্চন কাকলির। কিন্তু ভোর না হতেই নিজেদের পরিবারের সকল সদস্য সহ কাঞ্চন পালিয়ে যায়। পাড়া-প্রতিবেশী সকলের খোঁজ খবরেও মেলে না, কাঞ্চন বা তার পরিবারের হদিস। ইতিমধ্যে কাঞ্চনের কর্মস্থল সুন্দরবন থেকে আরেকজন বিয়ের প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত মহিলার সাথে কথা হয় কাকলির, শুধু তাই নয় বিগত এক বছর আগে শান্তিপুরের বইগাছি পাড়ার আরেকটি অভিযোগ পত্র জমা পড়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের এই কাঞ্চনের বিরুদ্ধে।

অবশেষে থানায় যায় কাকলি। অভিযোগ পত্রের সামান্য কিছুত্রুটি থাকায় প্রাথমিকভাবে ডাইরি না করতে পারলেও, পরবর্তী দুদিন বাদে ডাইরি করা হয় শান্তিপুর থানায় । প্রভাবশালী কাঞ্চনের দাদা ও জামাইবাবু সংসার ভাঙার পক্ষে সবরকম প্রচেষ্টা করলেও, বর্তমানের সবটাই আইনের আটকে। কাকলির প্রশ্ন , ভালোবাসা, প্রতিশ্রুতি, স্বপ্ন সবটাই কি, আইনের বিচারে খোরপোষ??