মলয় দে নদীয়া: ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি। বিশ্বের ৯০ টি দেশের ৩০ থেকে ৩৫ কোটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ উদযাপন করে থাকেন আজকের এই দিনটি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সিধু ,কানু ,চাঁদ, ভৈরবের সশস্ত্র বিপ্লব ইংরেজদের রাতের ঘুম কেড়ে ছিলো এক সময়।
১৭৯৩ সালে লর্ড কর্নওয়ালিসের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিলো, তাই সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতাল বিদ্রোহ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল। পৃথিবীর আদিমতম ভাষার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাঁওতালি ভাষা। এই বাংলাতেও কথ্য ভাষা হিসাবে বাংলার পর সাঁওতালি ভাষা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে। অথচ রক্তে রাঙ্গা একুশে ফেব্রুয়ারি হাজার ১৯৫২ সালের মাতৃভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মাতৃভাষা হিসেবে সাঁওতাল ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করা আজও দুরহ। তাদের জীবনধারা মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার, সংরক্ষণ, আদিবাসী জাতিসমূহের ভাষা সংস্কৃতি, আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিটা বিষয়ে অধিকার আদায়ে আজও আন্দোলনে সামিল হতে হয় তাদের। অথচ আদি বাসিন্দা তাঁরাই
বাংলার লোকসংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যেতে চলেছে বহু বছরের চেষ্টায় কয়েকটি দলকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের দিশারী পরিবারের মানসী দাস। ইতিমধ্যেই অর্থনৈতিক সংকট দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছে নিদারুণ চেহারা নিয়ে শিল্পী না বাঁচলে বাঁচবে না শিল্পও। করোনা আবহে জমায়েত এড়িয়ে
আজ এক অনলাইন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ফকির নহির শাহ, দিল আফরোজ রেবা, বাংলার ঝুমুরিয়া শ্রী সুভাষ চক্রবর্তী দৌড়ায় অর্পিতা চক্রবর্তী, অর্পণ চক্রবর্তী,দোলা রায় সহ অনেকেই সামিল হচ্ছেন বিশ্ববাসীকে তাদের বর্তমান সমস্যা, শৈল্পিক চিন্তাভাবনাকে জনসমক্ষে তুলে ধরে সমাধানের আশায়।