মলয় দে নদীয়া;-বিপদ যখন আসে হয়তো সব দিক থেকে এভাবেই আসে! নৃসিংহপুর চৌধুরীপাড়ার চাঁদু মাহাতো, চাঁদ কিশোর মাহাতো, মনা মাহাতোর মতো বহু কৃষক ভূমিহীন হয়ে অন্য পেশার সাথে যুক্ত হয়েছে গঙ্গা ভাঙ্গন এর কারণে। ১০- ১২ বিঘা জমির মধ্যে এখন শেষ সম্বল ১০-১২ কাঠা। কোনরকমে সার ওষুধ বীজ ধার করে কিনে আরো একবার চেষ্টা করেছিলেন মূল পেশা চাষে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, তা আর সম্ভব হবে না।
যেভাবে জল বাড়ছে এবং জলের ঢেউয়ের গতিপ্রকৃতি তাদের গ্রামের অভিমুখে। জলের মাঝে বোল্ডার ফেলে একটি জায়গা ভাঙ্গন ঠেকাতে গিয়ে অন্য আর এক জায়গার পাড়ে ধাক্কা খাচ্ছে জলের ঢেউ। লকডাউন এর আগেও নিজের জমির কাগজপত্র ঠিক করতে গিয়ে সঠিক সময়ে সরকারি খাজনা দিয়েছিলেন এই পরিবারগুলি! কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহযোগিতা বা নতুনভাবে অন্য কোন উপায়ের এর ব্যাপারে এলাকাবাসী কোনো সদর্থক ভূমিকা দেখছেন না বলে অভিযোগ ।
একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে কর্মহীন , তার উপর গঙ্গা ভাঙ্গন! দিন আনা দিন খাওয়া এই দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ আজ বড়ই অসহায়।