মলয় দে, নদীয়া :- জল দেখতে পাচ্ছেন তো! ভালো করে দেখুন মাছ সাপ, জলজপোকা সবই পেয়ে যাবেন, আর ওই যে দূরে নৌকা আসছে! ওইপারে বিখ্যাত নদীয়ার শান্তিপুরের ক্ষুদে কালীমাতা যদি হাতে সময় থাকে, বা কাছে গিয়ে মাকে প্রণাম করবেন মনে করেন একটু অপেক্ষা করুন নৌকা এসে নিয়ে যাবে আপনাকে। সময় যদি একদমই কম হয় তাহলে এপারে দাঁড়িয়েই পেন্নাম সেরে ফেলুন।
ওই পারে তুমি…….
আর এই পারে আমি.. মাঝখানে উন্নয়নের
স্রোত বইছে। তবে জলের রং বেশ খানিকটা কালো ঘন এবং পচা দুর্গন্ধযুক্ত, করোনা থেকে বেঁচে বাড়ি ফিরলেও এ জলে চুবনি খেলে কোন প্রতিষেধক কাজ করবে না এ ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত। তবে এটা কোন নদী বা জলাশয় নয়, রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় শান্তিপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষুদে কালিতলার সামনে দিয়ে নবদ্বীপ যাওয়ার প্রধান রাস্তা।
নৌকার দাঁড় মাঝে মাঝে ঠেকছে জলেরনিচে পিচের রাস্তায়। গঙ্গায় চর পড়লেও এই রাস্তায় কিন্তু
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা সারাবছর জল পাবেন আপনি। কত আন্দোলন কত বিক্ষোভ জনগণের, কোনো ফল হয়নি।
কিছুদিন আগে ওই রাস্তার দু’পাশের দুটি বাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে জলের দরে। এমনকি একজন তো পরিবার নিয়ে বাড়ি জলের জন্য বাইরে চলে গেছেন।
বাড়ির উঠোনে সারাবছর থৈ থৈ করে জল, হাঁড়িতে চাল না থাকলেও কার্বলিক এসিডের শিশি ব্লিচিং ফিনাইল ধার করে হলেও যোগান রাখতে হয় সর্বদা। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে কুড়ি টাকা ভাড়া বেশি দিতে হয় জল থেকে ডাঙায় তোলার জন্য। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বারেবারে উঠে এসেছে এই ছবি, পৌরসভায় দরবার করেও ধৈর্য্য গেছে জলে।
আসলে ৭ টি বাড়ির ৪২ টি ভোট না দিলে তো আর উন্নয়ন থেমে থাকবে না! এমনটাই দাবি করেন এক এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক অজয় দে জানান মানুষকে “ধৈর্য ধরার অনুরোধ করবো, ওখানে একটা বড় পরিকল্পনা আছে করোনা পরিস্থিতির জন্য তা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না ” ।