নিউজ সোশ্যাল বার্তা, ৮ই ডিসেম্বর ২০১৯,ওয়েব ডেস্ক : পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নিজেই একাধিকবার তাঁর নানান লেখায় বিধবা বিবাহের প্রচলনকে তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় কীর্তি বলে উল্লেখ করে গেছেন। তিনি এমনটাও বলেছিলেন তাঁর মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর আগে যে বিধবা বিবাহ প্রচলনের চেয়ে আরও মহৎ কোন কাজ তিনি তাঁর জীবনে করতে পারবেন তাঁর নিজেরই এমনটা মনে হয় না।
বিদ্যাসাগর বড় দু:খে-ক্ষোভে তাঁর জন্মভূমি বীরসিংহ ছেড়েছিলেন একটি বিধবা বিবাহ বিষয়ক অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়ে। তিনি আমৃত্যু আর কোনদিন তাঁর প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরে আসেন নি।
পন্ডিত ঈস্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “বছর ভোর স্মরণে বিদ্যাসাগর” কর্মসূচির সার্বিক ও সার্থক রূপায়ণের প্রচেষ্টায় মেদিনীপুরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক মিডনাপুর ডট ইন এর উদ্যোগে “বিধবা বিবাহ সূচনা দিবস” পালন করা হল।
রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ১৮৫৬ সালের ৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর-এর উপস্থিতিতে প্রথম বিধবা বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। গতকাল সেই দিনটির সম্মানে সংস্থাটির উদ্যোগে বিদ্যাসাগরকে সাক্ষী রেখে ও আশীর্বাদ নিয়ে মালা বদল করল স্বপন ও স্বাথী।
পাত্রের নাম স্বপন ঘোড়াই, বাড়ি মেদিনীপুর শহরের ঝর্নাডাঙ্গা’য়। দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলের নাম পুলু এবং ছোট ছেলের নাম শম্ভু। পাত্রীর নাম স্বাথী প্রামানিক, বাড়ি লালগড়ের সোনাকড়া গ্রাম। পাত্রীর আগের পক্ষের কোন সন্তান নাই। নতুন মাকে পেয়ে খুব খুশি শম্ভু।
Facebook : News Social Barta 24×7
WhatsApp : 9434158779
তথ্য ও ছবি ঋণ : Midnapore.in এর ওয়াল