মলয় দে নদীয়া:- পরিবেশের সামঞ্জস্যতা, অক্সিজেনের যোগান, গ্লোবাল ওয়ার্মিং সংক্রান্ত কথাগুলো এখন বড়ই সাদামাটা আটপৌঢ়ে হয়ে গেছে। ছাড়ুন ওসব কথা! সারাদিন লাভের পেছনে দৌঁড়ানো আমরা, বরং ব্যবসায়িক লাভ ক্ষতির হিসাব টা দেখে নিই।
রানাঘাট কলেজের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. সোমনাথ কর তার নিজের বাড়ির ছাদে মিশরীয় ডুমুর, উত্তর আমেরিকার এভোক্যাডো , আফ্রিকান নাশপাতি, আন্না আপেল, থাই লাল জামরুল।
ভি এন আর পেয়ারা, গোল্ডেন এইট পেয়ারা, ব্রাজিলের লাল পেয়ারা, থাই কালো পেয়ারা, বারি মালটা ওয়ান লেবু ও বিভিন্ন জাতের লেবু, সিডলেস লেবু, দার্জিলিংয়ের কমলা, কাশ্মীরি আপেল কুল, সিডলেস কুল, থাই বল সুন্দরী কুল, থাই লম্বা সবেদা।
থাই বারোমাসি আমরা, থাই মিষ্টি কামরাঙ্গা, অল স্পাইস গাছ, জামীর ফল, মিরাক্যাল ফ্রুট, ড্রাগন ফ্রুট, বারোমাসি পাতি লেবু, সাদা জাম, অস্ট্রেলিয়ান ডালিম, থাই মিষ্টি তেঁতুল, আমলকি, থাই বাতাবী লেবু, থাই বেল, চায়না কমলা, পিঙ্ক কাঁঠাল, চেরি ফল ,স্ট্রবেরি অত্যন্ত সাধারণ ভাবে, ন্যূনতম পরিচর্যায় এ ধরনের অর্থকারী ফলের বাগান করেছেন ।
অনেকেরই ধারণা আছে এ ধরনের ফলের গাছ বাংলার আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না, বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সব রকম পরিস্থিতি প্রতিরোধ করার ক্ষমতাসম্বলিত করা হয় চারা বা কলম তৈরি করার সময়। হিসাব করলে দেখা যায় একটি সাধারণ পরিবারে প্রতি বছরে দশ থেকে কুড়ি হাজার টাকার ফল কিনতে হয় বাজার থেকে, সেটাও যদি বাঁচে, তাও আবার কেমিক্যাল বিহীন পুষ্টিগুণ সহ! মন্দ কি?