মলয় দে নদীয়া:- মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় অন্ধকারের মধ্যে নয়, প্রকাশ্য দিনের আলোতেই সর্বস্ব লুট হয়ে গেল এক দিনমজুর পরিবারে। রীতি মতন দিনে দুপুরে ডাকাতিতে চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। সর্ব শান্ত হয়ে পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।চরম চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটলো নদীয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়া বাস স্ট্যান্ড পাড়া এলাকায়।
পরিবার প্রধান অনিমেষ ভৌমিক পার্শ্ববর্তী বেলের মাঠ এলাকায় ট্রান্সপোর্টের সামগ্রি লোড আনলোড এর কাজ করতে গিয়েছিলেন আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতোই । স্ত্রী ঝুম ভৌমিক আশা কর্মী। তাই সকাল দশটা নাগাদ তিনি বেরিয়ে যান কাজে। পরিবারের একমাত্র সন্তান শান্তনু কলেজ পড়ুয়া। স্কলারশিপের ফরম ফিলাপের জন্য দুপুর ১১ টা নাগাদ বারান্দার গ্রিলের দরজায় তালা দিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে ফিরে আসে দুপুর একটার মধ্যেই। কিন্তু এরই মধ্যে সব শেষ! গ্রিলের দরজার তালা ভেঙে গ্রিল খোলা অবস্থায় দেখে সে এরপর ঘরেরও দরজা খোলা দেখে , ঘরে ঢুকে লক্ষ্য করে আলমারির তালা ভেঙে লকার থেকে নগদ অর্থ এবং সোনার গহনা উধাও। সে বাবা ও মাকে ফোন করে জানানোর পর তারা বাড়িতে ফিরে শোকাহত হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীদের মধ্যে এক মহিলা জানান শ্যাম বর্ণ দুইজন অল্প বয়সী যুবককে শাবল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ওই বাড়ির সামনে। তবে পার্শ্ববর্তী একটি অনলাইনে দোকানে অপরিচিত অনেকেই আসে ভেবে তার মধ্যে কোন সন্দেহ জাগেনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কৌশিক কর। তারা সমস্ত খতিয়ে দেখা যাওয়ার পর বিকালে একটি শাবল উদ্ধার হয় যা তাদের নয়।
অনিমেষ বাবু বলেন তাদের বিয়ের গহনা এভাবেই লকারে থাকতো । সোনার সীতাহার চেন দুটো আংটি দুটো কানের ঝুমকো শাখা বাধানো এ সমস্ত দিয়ে প্রায় পাঁচ ভরি হবে, যার মূল্য আনুমানিক চার লক্ষ টাকার কাছাকাছি। দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট অর্জিত অর্থ জমা করছিলেন একটি খাট বানানোর জন্য সেই কারণেই নগদ সাড়ে চুয়াল্লিশ হাজার টাকা ছিলো ওই লকারে। কিন্তু এভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবতেও পারেনি কখনো। দিনের বেলা বলেই হয়তো প্রতিবেশীরাও কেউ কিছুই টের পাননি।