“রুটি ব্যাংক” পাড়া থেকে শুরু করে বগুলার অনেকের অনাহারের আহার

Social

মলয় যে নদীয়া:- “রোটি কাপড়া অর মৌকান” শুধু হিন্দি কাহাবত না। অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া প্রত্যেকে এইটুকু জোগাড় করতেই হিমশিম খান সারাবছর! তার ওপর দীর্ঘদিন লকডাউনে কর্মবিরতি।

সদ্য পড়াশোনা শেষ করে কাজ না পাওয়া কিছু যুবক প্রথম প্রস্তাব রেখেছিল তাদের মায়েদের কাছে, নিজের জন্য চারটে রুটির বদলে দুটো রুটি বাড়তি বানানোর অনুরোধ। এভাবেই নজন দুটো করে আঠারোটা রুটি রেল স্টেশন, হাসপাতাল, পথের প্রান্তে বাসস্ট্যান্ডে থাকা ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীনদের আহার যুগিয়েছিল। কিছু সহৃদয় ব্যক্তি, এবং বাড়ির মায়েরা এই শুভ উদ্যোগে সামিল হয়ে রুটির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকলো।

সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে আবেদনে সাড়া মিলতে থাকলো ক্রমশ। তৈরি হলো “রুটি ব্যাংক”। এখন প্রতিদিন নিয়মিত প্রত্যেক সদস্য নির্দিষ্ট সময়ে বেরিয়ে পড়েন রুটি পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে শহরের পথে অভুক্ত না থাকার শপথে। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে আহারের ব্যবস্থা করছে রুটি ব্যাংক তাদের সঞ্চিত খাদ্য নিয়ে নিত্য নিয়মিত পরিষেবায়।

তাপস মন্ডল, অরুণ বিশ্বাস , প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সুধাংশু অধিকারী র মতো উদ্যোক্তারা জানান “আমরা কিছুই করিনি, শুধুমাত্র, একটু ধারনা বাস্তবায়িত করেছি, মানুষের সঞ্চিত খাদ্য আমাদের ব্যাংকে রেখে অর্থ প্রদানকারী ব্যাংকগুলোর মতো সেই মুনাফা লোন, ডিভিডেন্ড, ইন্টারেস্ট, রূপে পৌঁছে দিচ্ছি মাত্র। বিন্দু বিন্দু জল থেকে তৈরি হয় সিন্ধু,একটা রুটি আমি কম খেলে মারা যাব না! কিন্তু একটা রুটির জন্য বেচে যাবে আর একটি প্রাণ”

Leave a Reply