নিউজ সোশ্যাল বার্তা,১৫ই অক্টোবর ২০১৯: নদীয়া জেলার কালীগঞ্জ থানার দেবগ্রামের তালতলা পাড়ার বাচ্চা নাম নুরুল আতিক। আতিকের যখন ৩ মাস বয়স তখন পরিবার জানতে পারে সে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। সেই সময় থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে আতিককে নিয়ে রক্ত দিতে যেতে হতো কলকাতা । বর্তমানে আতিকের রক্ত দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে। আতিকের এখন ১৮ দিন পর পর রক্ত লাগে । রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বর্তমানে ৬.২ । আজ ১৫ ই অক্টোবর ছিল তার রক্ত নেওয়ার দিন। তার রক্তের গ্রুপ ও পজেটিভ । গতকালই থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটে ফোন করেন আতিকের পরিবার কিন্তু সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় পূজার জন্য ক্যাম্প কম হওয়ায় রক্ত মজুত নেই। ও পজেটিভ গ্রুপের ডোনার জোগাড় করাই একমাত্র ভরসা । কি করবে এই পরিবার ? মাঝে মাঝেই ডোনার জোগাড় করতে হয়। বাচ্চার কথা ভেবে দিশেহারা হয়ে পড়ে আতিকের পরিবার । মনে পড়ে বিনামূল্যে রক্তের ডোনার যোগানের গ্রুপ ইমারজেন্সি ব্লাড সার্ভিসের কথা । ফোন করেন EBS গ্রুপের অন্যতম সদস্য ওসমান গনি খানের কাছে।ওসমান বাবু ভরসা দেন সকালের মধ্যে একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে । ওসমান গনি খান ই গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ডোনার জোগাড় করেন ও সকালে জানিয়ে দেন আতিকের পরিবারকে । কৃষ্ণনগরের একজন যুবক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ব্লাড ব্যাংকে এসে রক্ত দান করেন ও রক্ত পায় নুরুল আতিক ।নুরুলের মামা সাবির সেখ বলেন” EBS গ্রুপের সদস্যরা যেভাবে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত বাচ্চার জন্য রক্ত জোগাড় করে দিলো ও বিপদের দিনে সাহায্য করল তা কোনদিন ভুলতে পারব না । মানুষের জন্য ওনারা কাজ করে যান ।ওনারা দীর্ঘজীবী হোন ঈশ্বরের কাছে এটাই প্রার্থনা করি ।ইমারজেন্সি ব্লাড গ্রুপ সার্ভিসের পক্ষে ওসমান গনি খান বলেন ” আমরা বিনামূল্যে সবার জন্য সব সময় প্রস্তুত । রাজ্য জুড়ে রয়েছে আমাদের রক্তদাতা সদস্যরা । অাজ ১১ ইউনিট রক্তের দরকার ছিল গ্রুপের সদস্যদের মাধ্যমে ৮ ইউনিট রক্ত আমরা দিতে পেরেছি। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে পারব”।