মলয় দে, নদীয়া :- ক্ষুদ্র একটি গমের বীজ এর ওপর মা সরস্বতীর প্রতিকৃতি তৈরি করে বাগদেবীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন নদীয়ার নবদ্বীপের এক বাসিন্দা। চৈতন্য ভূমি, মন্দিরনগরী নবদ্বীপ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত প্রতাপ নগর শ্রীনগর কলোনি এলাকার বাসিন্দা পেশায় অংকন শিক্ষক গৌতম সাহার একমাত্র নেশা বিভিন্ন মনীষী ও দেব দেবীর প্রতিকৃতি রং তুলির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা। এছাড়াও সিমেন্ট, চক ও মাটির সাহায্যে একাধিক মূর্তি গড়েছেন তিনি।শ্রীনগর কলোনি এলাকায় তাঁর বসতবাড়িটির আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে শিল্পকলার নিদর্শন। নিত্য নতুন সৃষ্টির আনন্দে বাল্য বেলা থেকেই অঙ্কন শিল্পের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন গৌতম বাবু। গৌতম বাবুর বাবা প্রয়াত শিক্ষক গোপাল চন্দ্র সাহা একজন স্বনামধন্য গীতিকার ও সাহিত্যিক ছিলেন।এমনকি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি যুক্ত ছিলেন আকাশবাণীতে। যার সুবাদে ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন খ্যাতনামা শিল্পীদের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন গৌতম। এককথায় পারিবারিক সূত্রে শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মধ্যেই তাঁর বড় হয়ে ওঠা। গত বছর কালীপুজোর আগে একটি দেশলাইয়ের কাঠির উপর মা কালীর প্রতিকৃতি বানিয়ে ছিলেন তিনি। যা খবরের শিরোনামে নিয়ে আসে তাঁকে। এছাড়াও দেশলাইয়ের কাঠির উপরে মাটি ও রং এর সাহায্যে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন শিব, গণেশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেব দেবীদের ক্ষুদ্র মূর্তি। যা শিল্পীর অনবদ্য নৈপুন্যতা প্রকাশ করে। তাঁর এই শিল্পকলা তিনি পেশা হিসেবে নয় সম্পূর্ণটাই নেশার বসে করে থাকেন বলেও জানান গৌতম বাবু।সেই কারণেই এখনো পর্যন্ত তিনি দেশ-বিদেশের কোনো এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ পর্যন্ত করেননি। করোনা বিপর্যয়ে দীর্ঘ লকডাউন এর ফলে শুধুমাত্র সময় কাটানোর অছিলায় তিন দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর তিনি গমের দানার উপর মা স্বরস্বতীর প্রতিকৃতিটি ফুটিয়ে তুলেছেন বলেও এইদিন জানান গৌতম বাবু।তাঁর এই অনবদ্য শিল্পকলায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি গৌতম বাবুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।