দেবু সিংহ ,মালদা: নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে চিরকাল ধর্ম-বর্ণের উপরে স্থান দিয়েছেন যিনি,সেই চিরবিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে অন্য ভাবে পালন করল মালদার এক বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংস্থা ” সৌহার্দ্য” ।
কবি নজরুলের আদর্শকে মান্যতা দিয়ে তাঁরই আদর্শে কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকের যদুপুর কাস্তপাড়া এলাকার দুর্গা মন্দিরে ৫০ জন দুঃস্থ পরিবারের মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেন মালদার সাংস্কৃতিক সংস্থা ‘সৌহার্দ্য’।
অনুষ্ঠানের সম্মাননীয় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গৌড় কলেজের অধ্যাপক ঋষি ঘোষ, মালদা কলেজের অধ্যাপিকা শম্পা চক্রবর্তী এবং সাংবাদিক ও শিক্ষক রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে নজরুলের প্রতি বক্তব্য দিতে গিয়ে অধ্যাপক ঋষি ঘোষ বলেন “কবিতা আর দেবতা সুন্দরের প্রকাশ।তবু বলি-আমি শুধু সেই সুন্দরের হাতের বীণা আর পায়ের ষপদ্মফুলই দেখিনি,তার চোখে চোখভরা জলও দেখেছি। শ্মশানের পথে,গোরস্থানের পথে তাকে ক্ষুধাদীর্ণ মূর্তিতে ব্যথিত পায়ে চলে যেতে দেখেছি…”নজরুলের এই ঐতিহাসিক শেষ ভাষণে নিপীড়িত মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাকে চিরকাল ধর্ম-বর্ণের উপরে স্থান দিয়েছেন । চিরবিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ অন্যরকম।”
আয়োজকদের পক্ষ থেকে অসীম কর্মকার ও সিদ্ধার্থ সাহা জানান,এলাকায় সার্ভে করে রেশনকার্ডহীন পরিবারগুলির হাতেই ত্রাণ তুলে দেওয়া হলো। সৌহার্দ্য কর্ণধার কুন্তল দাস ও প্রতিমা মণ্ডল জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যয়ভার বাঁচিয়ে দুঃস্থ মানুষের হাতে এই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াই কবির প্রতি আমাদের শ্রদ্ধানিবেদন।