অঞ্জন শুকুল, কৃষ্ণগঞ্জ, নদীয়া: ঈদের আগে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সাহায্য করলেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি। শুধু চাল, ডাল, নুন, তেল, সবজি নয় খুশির ঈদের জন্য দিলেন একটি করে মুরগি, এবং সঙ্গে একটা করে মিষ্টির প্যাকেট। আগামীকাল ঈদ। কিন্তু ঈদে লকডাউনের ফলে দরিদ্র মানুষ এখন আরো দরিদ্র হয়ে পড়েছে। হাতে তাদের নেয় নগদ পয়সা, তাই এই গরীব মানুষ গুলো বাজারে যেতে পারছেন না। তাই ঈদ পালন করা অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলো তাদের ধর্ম পালন করা একটা কঠিন অবস্থার মধ্যে দাঁড়িয়েছে। এই জায়গায় দরাজ হাতে সাহায্য করলেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি রাজশেখর পাল। .
তিনি নিজেও ধর্মপ্রাণ। তাই তিনি ধর্মপ্রাণ মানুষদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলেন। আজ সকালে তিনি কৃষ্ণগঞ্জ এর সাতটা পঞ্চায়েতের সাতটা বিশেষ জাগায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুশির ঈদ পালন করবার জন্য আস্ত মুরগি ও মিষ্টি সহ আনাজ তুলে দিলেন গরিব মানুষ গুলোর হাতে। বাবলাবন, পাবাখালি, লক্ষী ডাঙ্গা, পুটিখালি, বিষ্ণুপুর, দিগম্বরপুর সহ মাটিয়ারী বানপুরে এদিন প্রশাসনের তরফ থেকে প্রতিটা জায়গায় সামনে এই খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনের হাত থেকে চাল, ডাল, আলু, নুন সহ সমস্ত সবজি ছাড়াও একটা করে মুরগি ও মিষ্টির প্যাকেট সংগ্রহ করেন এই সমস্ত গরিব মানুষরা। খুশি মুখে সকলেই বাড়ি ফেরেন। যাতে কালকে ঈদের দিনে তারা মিষ্টিমুখ করতে পারেন। সেই জন্য প্রশাসনের এই অভিনব উদ্দ্যোগ। ১২০ টা দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করে তাদের হাতে এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি রাজ শেখর পাল।
ঈদের আগে প্রশাসনের এই দরাজ ভূমিকায় স্বভাবতই খুশি এই গরীব মানুষেরা। স্থানীয় বাসিন্দা কামাল শেখ জানান- আমরা খুব খুশি, এই জন্য আমরা ঈদের আগের দিন প্রশাসনের কাছ থেকে এই ধরণের খাদ্য সামগ্রী পাওয়ায়। মনোজা বিবি বলেন এই রকম একজন পুলিশ অফিসার পেয়ে আমরা ধন্য। কারণ আমরা প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের দিনে খুশিতে ভরাতে পারবো বাড়ির সকলকে এবং ওদের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো এই সমস্ত খাবার তুলে দিতে পেরে। শুদু ঈদেই নয়, এর আগে বিভিন্ন পুজোতে বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন একই ভাবে। তিনি যে কত টা মানবিক তার প্রমান দিলেন আবারও।
তিনি একজন দক্ষ প্রশাসক এবং মানবিক ত্রাতা বটে বলে জানালেন বানপুর হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার মিত্র। তিনি আরো জানান আমরা ধন্য কৃষ্ণগঞ্জ থানা এই রকম একজন কর্মঠ ও.সি পাওয়ায়।।