মলয় দে নদীয়া:-হায়দ্রাবাদে কাজ করছেন কেউবা একবছর কেউ বা তারও বেশি, অনেকে বাড়ি ফিরেছেন গত ঈদে। লকডাউনের প্রথম ধাপ থেকে অপেক্ষারত শ্রমিকদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে তৃতীয় পর্যায়ে এসে। শেষ মাসের মাইনে টুকু খাওয়া খরচ বাবদ চলে গেছে। অবশেষে হাতে দু এক হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন ১৫ দিন আগে। রাতে হেঁটে রাস্তায় অনেকটা, গরম থাকে কম। তাই দিনের বেলায় বিশেষত দুপুরে পথের ধারে নির্জন গাছ তলায় জিরিয়ে নেয় খানিকটা তারপর আবার হাঁটা দেয় পরিযায়ী শ্রমিকের দল। কখনো বা কোন সবজির গাড়ি বা অন্য কিছু সামরিক সহযোগিতা করলেও আইনি বাধায় পিছিয়ে যায় অনেকেই।
ফোনের ওপ্রান্তে মা-বাবা আত্মীয়-স্বজনের গলা ভেসে আসে মাঝে মাঝে, হাঁটার গতি আরো তীব্রতর হয়। কোন জায়গায় পুলিশি বাধা, কোথাও বা পথচলতি সাধারণ মানুষের কৌতুহল পূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে এগিয়ে চলেছেন তারা। হায়দ্রাবাদ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দিলে মিলতো মুর্শিদাবাদে পৌঁছানোর সুলুক-সন্ধান, কিন্তু টাকা না পেয়ে অবশেষে মনের জোরে বেরিয়ে পড়েছেন তারা।
আজ শান্তিপুর ঘোড়ালিয়া বাইপাস মোড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা।
শান্তিপুর থানার ওসি সুমন দাস স্থানীয় একটি সমাজসেবী সংগঠনের সহযোগিতায় কিছু খাদ্য ব্যবস্থা করেন। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছেন বলে জানা যায় বিশেষ সূত্র অনুযায়ী।