দেবু সিংহ মালদা ,দফায় দফায় দীর্ঘ মেয়াদি হচ্ছে লকডাউন। লকডাউন এর জেরে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মাখনা চাষীরা ক্ষতির আশঙ্কায় ভুগছেন। এলাকার বিভিন্ন পুকুরে ও জলাশয় এ মাখনা বাড়তে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিক নিয়েছে এই মাখনা তোলার কাজ করতে পারছেন না এলাকার মাখনা চাষিরা।
প্রধানত বিহার ঝাড়খন্ড থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা তখন হরিশ্চন্দ্রপুর এসে মাখনা চাষ নিযুক্ত হয়। এদের উপর ভরসা করে এলাকার চাষী ও ব্যবসায়ীরা মাখনা আর উৎপাদন করে। মাখনা তোলা থেকে শুরু করে ঝাড়াই-বাছাই ও তার থেকে তৈরি করা সমস্ত কাজই এসমস্ত বহিরাগত শ্রমিকদের দিয়ে করা হয়ে থাকে।কিন্তু দফায় দফায় লকডাউন বেড়ে চলেছে অন্যদিকে সংক্রমনের ভয় এই উভয় সংকটে এবার বাইরে থেকে শ্রমিক আসবে কিনা সেই নিয়ে সংশয় পড়েছেন এলাকার ব্যবসায়ী ও চাষিরা।
এদিকে লকডাউন এর জেরে কিছু মাখনা শ্রমিক ও লেবার হরিশ্চন্দ্রপুর এর বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়েছে। অর্থ সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন তারা। আহারে অর্ধাহারে কোনরকমে দিন গুজরান করছেন।
এলাকার এক মাখনা চাষী শেখ মালেক জানান এবার মাখনার বীজের দাম অনেক কমে যাবে। আগের বার ভালোভালো দাম পেয়েছিলাম। এবার লকডাউন এর ফলে দাম নেমে যাবে।
এদিকে দ্বারভাঙা জেলার এলাকায় আটকে পড়া এক মাখনা শ্রমিক লক্ষী দেবী জানালেন আমরা লকডাউন এর জন্য এবার আটকে গেছি বাড়ি ফিরতে পারেনি। আমাদের পরিবার আমাদের সঙ্গে এখানেই পড়ে আছে কোন কাজ নেই। পয়সার সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য সঙ্কট ও আমাদের পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ খলিল জানান লকডাউন এর জেরে এবার মাখনার খোয়ের বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা থেকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় মাখনা রপ্তানি করা হয়, এমনকি এই মাখনা বিদেশেও যায় | লকডাউন এর জেরে সব বন্ধ ।