নিউজ সোশ্যাল বার্তা: নদীয়া জেলার তেহট্টের নাটনা মোড়ের বাসিন্দা পলি বিশ্বাস মাতৃজনিত কারণে কৃষ্ণনগরের সদর হাসপাতালে পরশু ভর্তি ছিলেন । রোগীর দেহে রক্তশূন্যতা দেখা যায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য । চিকিৎসক ৪ ইউনিট রক্ত জোগাড় করার পরামর্শ দেন। রোগীর বাড়ির লোকজন সারাদিনে ১ ইউনিট রক্ত যোগাড় করতে সক্ষম হন। দিন গড়িয়ে বিকেল বিকেল থেকে রাত হয়ে যায় কিন্তু অার এক ইউনিট A+(পজেটিভ) রক্ত জোগাড় হয়নি।
তার স্বামী এবং তার ভাই প্রায় আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন । এই মুহূর্তে তেহট্টের কথা অধিকাংশ লোকের জানা । রক্ত যোগাড় করতে না পেরে একটি সময় নিজেরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
শেষমেষ তাদের এক পরিচিত ব্যক্তি দীপেশ বাবু সুমন ভৌমিককে ফোন করেন রাত তখন সাড়ে ১১টা । অত রাতে ফোন পেয়ে একটু চিন্তিত হয়ে পড়েন । এত রাতে কেউ কি আসতে রাজি হবে ! কিন্তু কি করা যাবে, ব্যবস্থা করতেই হবে ।
সাধারণ মানুষের মধ্যে রক্তদান ও রক্তদানের সচেতনতার প্রচার করে চলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রচেষ্টা গ্রুপ । তাদের সহযোগীতায় ডাটা খুজে বের করা হয় যার যার এ পজিটিভ প্রত্যেককে ফোন করা হয় গ্রুপের তরফ থেকে।
গ্রুপের অন্যতম সদস্য সৌভিককে ফোন করা মাত্রই সে রাজি হয়ে যায়।
সৌভিক কে নিয়ে যখন হাসপাতালে পৌঁছায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ তখন রাত ১২ টা । রক্তদান করলেন সৌভিক। রক্তদানের পর সমস্ত রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রাত ১টা নাগাদ রোগীর ভাইয়ের হাতে রক্ত তুলে দেওয়া হয় প্রচেষ্টা গ্রুপের তরফ থেকে। রোগীর পরিবারের তরফ থেকে প্রচেষ্টা গ্রুপ ও সৌভিক কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয় ।
প্রচেষ্টা গ্রুপের পক্ষে সুমন ভৌমিকবলেন “আজ আবারো মানবিকতার পরিচয় দিলো প্রচেষ্টা গ্রুপের সদস্যরা । আগামী দিনেও আমরা এভাবে সবসময় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই । “