মলয় দে নদীয়া:- নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশখাঁকী লেনের বাসিন্দা চঞ্চল ভাঙ্গরী। পেশায় তাঁত শ্রমিক। স্ত্রী শিক্ষা ভাঙ্গরীর ২০০৯ সাল থেকে কিডনি সংক্রামিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে ডায়ালিসিস, হিমোগ্লোবিন ইনজেকশন নেওয়া সহ বিভিন্ন চিকিৎসার কারণে ছুটে বেড়াতে হতো জেলা ছাড়িয়ে কলকাতাতেও।
সময়াভাবে তাঁতের কাজ প্রায়বন্ধ। ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা, একাদশ শ্রেণি ও বিএ সেকেন্ড ইয়ার পাঠরতা দুই মেয়ে, এবং অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে তার পরিবার। রোজগেরে একমাত্র তিনিই ছিলেন। অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দুই মেয়ের পড়াশোনা। আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশী কাছ থেকে চেয়ে কোনরকমে ডায়ালিসিস করাতে নিয়ে যান কলকাতায়, কিন্তু লকডাউন সেটাও বন্ধ হওয়ার জোগাড়। স্থানীয় কাউন্সিলর কে বিষয়টি জানিয়ে কোন লাভ না হওয়ায় পাড়ার ছেলে রাজু দাস এর মাধ্যমে পৌঁছান বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের কাছে। তাঁর দেওয়া চিঠি নিয়ে আজ পৌঁছান রানাঘাটের মহকুমা শাসক হরসিমরান সিং এর কাছে। ১০ মিনিটের মধ্যে মহকুমা শাসক সমস্ত ঘটনা শুনলেন। এমত অবস্থায় গাড়ির সেরকম যোগাযোগ করে উঠতে পারবেন না বলেই সম্ভবত সম্পূর্ণ নিজের ব্যাংক একাউন্ট থেকে ৫০০০ টাকা ট্রান্সফার করেন চঞ্চল ভাঙ্গরীর একাউন্টে। ভাড়া দিতে পারবে না জেনেও পাড়ারই একটি গাড়ির মালিক সোমনাথ দেব চালকরূপে বিনা পারিশ্রমিকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসলেন রানাঘাট এস ডি ও অফিস থেকে।