নিউজ সোশ্যাল বার্তা: দোকানের সামনের ফাঁকা জায়গায় সাজানো রয়েছে প্যাকেট করা খাদ্য সামগ্রী কাছে কোন লোকজন নেই । সেই খাদ্য সামগ্রী নিয়ে গেলেন প্রান্তিক মানুষেরা । নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের পাশে দোগাছী গ্রামের ঘটনা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো লকডাউনে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা কাজ হারিয়ে পরিবার নিয়ে অথৈ জলে। কৃষ্ণনগরের “শ্রেষ্ঠা’র সদস্যারা এই অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে চান। তাঁদের হাতে তুলে দিতে চান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। যেহেতু সংগঠনের সকলেই মহিলা সদস্য তাই লকডাউনের কারণে কোথাও যেতে পারছেন না তাঁরা । এদিকে অসহায়দের পাশে না দাঁড়াতে পারার আক্ষেপ কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তাঁদের। অবশেষে উপায় খুঁজে পেলেন তাঁরা ফেসবুক পেজে কাজ কর্ম দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রেষ্ঠার পক্ষ থেকে তন্দ্রা ব্যানার্জি যোগাযোগ করেন কৃষ্ণনগরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আনন্দধারা’র সম্পাদক রাজু পাত্রের সঙ্গে । শ্রেষ্ঠার সদস্যরা বাড়িয়ে দিলেন সাধ্যমতো সাহায্যের হাত। ৫০ টি পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিলেন মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত সংগঠনটি ।
গতকাল দোগাছী গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তের
৫০টি প্রান্তিক পরিবারের ৪ দিনের দুবেলা দুমুঠো খাবারের দায়িত্ব নিলেন শ্রেষ্ঠা গ্রুপের সদস্যরা।
শ্রেষ্ঠা” একটি স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠন, কৃষ্ণনগর নেদেরপাড়াতে সংগঠনটির পথ চলা শুরু ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ থেকে। তিন বছরে বেশ কিছু সেবামূলক কাজ ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন শ্রেষ্ঠার সদস্যারা। দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ, ৮ ই মার্চ নারী দিবসে অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন সেবামূলক কাজ ছোটো ছোটো করে সারাবছর করে থাকেন। প্রায় ৩৫ জন মহিলা সদস্য নিয়ে এই সংগঠন ।
এ প্রসঙ্গে রাজু পাত্র বলেন “প্রান্তিক মানুষেগুলোর যাতে আত্মসম্মান বজায় থাকে তাই এই ধরণের উদ্যোগ । যাঁর প্রয়োজন সে এসে নিয়ে যাবে। শ্রেষ্ঠার দিদিদের আন্তরিক অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ জানাই। আগামীদিন গুলোতে মানুষের সেবায় এগিয়ে চলুক শ্রেষ্ঠা।” তিনি আরো বলেন” বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে পাওয়া সাহায্য পৌঁছে যাচ্ছে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে। দিনরাত্রি পরিশ্রম করে যারা পৌঁছে দিচ্ছেন মধু দাস,শানু সরকার,সঞ্জয় পাল,সুগত চক্রবর্তী, তন্ময় পাল,তরুণ বিশ্বাস,সৌগত চক্রবর্তী, শৈলেন বিশ্বাস , রাজু বিশ্বাস দীপক পাত্র, নগেন পাহাড়ী সহ আরো অনেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই ।”