নিউজ সোশ্যাল বার্তা : করোনা মোকবিলায় দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। আর এই লকডাউনের ফলে জীবন-জীবিকার সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন রাজ্যের গরীব ও দুঃস্থ মানুষ।
ওঁরা কর্মহীন,নিঃসহায়। কেউ কেউ রিক্সা টানতেন,কেউ কৃষি শ্রমিক,কেউ বাড়ীর সহায়িকার কাজ করতেন,কেউ বা দোকানের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন। এমন দুঃসময়ে সকলেই কর্মহীন তাই আয় বন্ধ।পরিবার নিয়ে অথৈ জলে তাঁরা ।দিন আনি দিন খাওয়া এই মানুষগুলো শুধু খেয়ে পড়ে বাঁচতে চায়।
নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং উচ্চবিত্ত মানুষের উপর।এদিকে উচ্চবিত্তরা সঞ্চয় ভেঙ্গে ঠিক চালিয়ে নিচ্ছে। বিপাকে পড়েছে সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ।কাউকে কিছু বলতে পারছে না, আবার কারো কাছে কিছু চাইতেও পারছে না।তিল তিল করে যা সঞ্চয় করেছিলো, সে সব শেষ। চোখের সামনে এইসব দুর্দশা দেখে গৃহবন্দী হয়ে থাকতে পারেননি কৃষ্ণনগর হাটখোলা পাড়া নিবাসী ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা। ঠিক করে ফেললেন যা সঞ্চয় আছে সেখান থেকে নিয়ে কিছু অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবেন,কিন্তু কি ভাবে করবেন এই কাজ?একা তো পারবেন না। যোগাযোগ করলেন “আনন্দধারা” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার রাজু পাত্রে’র সঙ্গে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ২০শে এপ্রিল ২০২০ সোমবার বাড়ীর কাছাকাছি দোগাছী গ্রামের ৩৫ টি প্রান্তিক পরিবারের হাতে নিজে উপস্থিত থেকে তুলে দিলেন চাল,ডাল,আলু।
প্রত্যেকের হাতে ৩ কেজী চাল,২০০গ্রাম মুসুরির ডাল এবং ৫০০ গ্রাম আলু তুলে দিলেন শ্যামল বাবু। মোট ১ কুইন্টাল ৫ কেজী চাল, ৭ কেজী ডাল,১৭ কেজী ৫০০ গ্রাম আলু দিলেন তিনি। গ্রামের অসহায় মানুষগুলো খুব খুশী। দু-হাত তুলে আশীর্বাদ করলেন শ্যামল বাবুকে।
“আনন্দধারা”র কর্ণধার রাজু পাত্র বলেন -“এইভাবে অনেক মানুষ এগিয়ে আসছে।এই মানুষগুলো পাশে আছে বলেই আমরা এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৫০ টিরও বেশী পরিবারের হাতে বেশ কয়েকদিনের খাদ্যসামগ্রী তুলে দিতে পেরেছি।।আমার বিশ্বাস,মানুষ মানুষের পাশে যে ভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আমরা এই দুর্দিন সকলেই একসাথে কাটিয়ে উঠতে পারবো। “