মলয় দে নদীয়া:- সরস্বতী পুজো হোক বা দুর্গা কচিকাচাদের গুরু দায়িত্ব পালনে আগ্রহ সর্বদা। বড়রা কিছুটা দায়িত্ব দিলেও ছড়ি ঘোরান মাথার উপর। কিন্তু এবার করণা আবহে নদীয়া শান্তিপুর শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানী পাড়ার ক্ষুদেরা প্রস্তুতি কমিটির মিটিংয়েও। অবস্থানগত কারণে রাস্তার পাশেই বারোয়ারী মন্দির! তাই প্রতিমা দর্শন আসার কারণেই হোক বা রাস্তা দিয়ে চলাচলের পথচলতি দের নজরদারির জন্য দুপাশের দুই ক্যাম্প করে ঠাকুর দেখা বাদ দিয়ে গুরু দায়িত্বে মেতেছে অংশুমান, বিশ্বজিৎ, সুরজিৎ, সম্পন ,বাবান অভিজিৎ, দের মত স্কুল পড়ুয়ারা। আগত প্রতিমা দর্শনার্থীদের ফোরহেড থার্মাল স্ক্রীনিং মেশিন, স্যানিটাইজার বোতল এবং মাস্ক বিতরনে ব্যস্ত ।আট থেকে আশি প্রত্যেকেই ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন এদের দেখে। অনেকে তো রীতিমতো ঝগড়ায় মেতেছেন পথচারীদের মাস্ক এর কারণে পথ আটকানোর জন্য। জীবনের অন্তিম লগ্নে পৌঁছে হাঁটুর বয়সী ছেলেদের কাছে সচেতনতা শিখতে হবে এই কারণেই হয়তো মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। কিন্তু তারাও নাছোড়বান্দা, সরকারি স্বাস্থ্য বিধিনির্দেশ নামার পোস্টার দেখিয়ে বুঝিয়েই ছাড়ছে তারা।
খাঁ পাড়া বারোয়ারী, ডাবরে পাড়া বুড়ো বারোয়ারি, চড়কতলা বারোয়ারি, নৃসিংহ পুর, বাবলা এবং ফুলিয়ার বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপে এই ধরনের ব্যবস্থা দেখা গেলেও, বাকিদের ক্ষেত্রে অবশ্য শুধুমাত্র পোস্টারে সচেতনতা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ষষ্ঠী এবং সপ্তমী রাস্তা ছিল প্রায় ফাঁকা। আজ অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেলো স্বাস্থ্যবিধি ভুলে ধর্মীয় আবেগে ভাসতে। এক্ষেত্রেও ভবানী পাড়া বারোয়ারী দুটি এলইডি স্ক্রিন লাগিয়া, রাস্তায় চূন দিয়ে চিহ্নিত করা গোল চিন্হে দাঁড়িয়ে মুখে মাস্ক লাগিয়ে অঞ্জলির চিত্র ধরা পড়লো আমাদের ক্যামেরায়। মন্ত্র উচ্চারণের প্রতিবার বিরতির ফুল পরিবর্তনের নিয়ম বদল করে এক ফুলেই সারলেন সমস্ত অঞ্জলী। ঠাকুরের পায়ে ফুল দেওয়ার জন্য, এবং দক্ষিণা প্রণামী বাক্স দেওয়ার জন্য বারোয়ারি সদস্যরা ঝুড়ি এবং প্রণামী পাত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অঞ্জলী প্রদানরতদের কাছে।