মলয় দে, নদীয়া :করোণার সচেতনতায় “সব শোনে মাস্টারমশাই” প্রকল্পের হাত ধরে পথে নেবে ছিলেন গত ১৭ ই মার্চ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে সংসদীয় জেলার মিটিংয়ে।তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নদীয়া জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহা র সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৪৮০০০ ছাত্র-ছাত্রী র কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল, তা আজ বিকেল পাঁচটার পর থেকে লকডাউন এর সিদ্ধান্ত থমকে যেতে চলেছিল।
কিন্তু সংগঠনের সদস্য সূত্রে জানা যায়, এমত অবস্থায় ছুটি উপভোগ করার, মানসিকতা তাদের নেই, বাড়িতে বসেই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতে, ফোনে খোঁজখবর নেবেন প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর। গুরুতর সমস্যা হলে সংগঠনের সদস্যদের দু-একজন পৌঁছে যাবেন সাহায্য করতে। প্রত্যন্ত মফস্বল এলাকা থেকে শুরু করে শহরাঞ্চলে মানবিক এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্যকে সফল করতে আজ শান্তিপুর নতুন চক্রের অন্তর্গত সুত্রাগড় ট্রেনিং একাডেমী থেকে ৬ জনের এক প্রতিনিধি দল বিকাল ৫ টা র সময় লক ডাউন হয়ে যাওয়ার পূর্বে প্রায় ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে যাওয়া হয়।
হাত ধোয়ার সাবান এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রাপ্ত সতর্কতাঃ বার্তা লিফলেট আকারে নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা একত্রিত হয়ে প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছান এবং ছোট ছোট কচিকাচা সহ তাদের পরিবারের সদস্যদের মারাত্মক ব্যাধি নভেল করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রধান করে সাবান ব্যবহার করার অনুরোধ করে একটি করে সাবান দেওয়া হয়।
উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি রাজীব সাহা, বিশিষ্ট শিক্ষক চঞ্চল চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট আরও চারজন শিক্ষক।